দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফকির নীটে ছাঁটাই-বরখাস্তের ঘোষণা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং প্যারাডাইজ কেবল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ সহ সকল শ্রমিকদের ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (জিটিইউসি)’র নেতৃত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় চাষাড়া শহীদ মিনারে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষাড়া সলিমুল্লাহ রোডে অবস্থিত কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন, বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় কমিটির নেতা দুলাল সাহা, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, প্যারাডাইজ কেবল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল, ফকির নীটের শ্রমিক মনোয়ার হোসেন ও সানোয়ারা বেগম প্রমূখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন- ফকির নীটের মালিক পরিকল্পিতভাবে কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানি ও ছাঁটাই-বরখাস্ত করে তাদের চাকরির আইনি ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।
মালিকের এই অন্যায় সিদ্ধান্ত ও জুলুমের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে। মালিককে অনতিবিলম্বে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে এসে ছাঁটাই-বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের কাজে পূর্নবহাল করতে। নয়তো চাকরির সর্বোচ্চ আইনি পাওনা প্রদান করতে। তা না হলে চলমান আন্দোলন আরো তীব্রতর করে দাবি আদায় করা হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন প্যারাডাইজ কেবল লিঃ শ্রমিকদের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর গত ২ জুলাই ২০ ইং শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়ে ছিলো ১২ মাসের বকেয়া বেতন চার কিস্তিতে ৩ মাস করে বেতন এক সাথে দেয়া হবে। প্রথম কিস্তি ২৬ জুলাই (রবিবার) দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু মালিকরা কথা রাখেনি। প্যারাডাইজ কেবল লিঃ মালিকদের এই আচরণের ধিক্কার জানিয় নেতৃবৃন্দ বরেন এই কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমিকদের বেতন প্রদানের কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ ঈদের আগে সকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান। ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করার হুঁশিয়ারি দেন। এতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায়দায়িত্ব সরকার ও মালিকদেরকেই নিতে হবে।