দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়নগঞ্জের শ্যামপুরের ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র সহ দুইটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোট ১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র,৬টি সঞ্চালন লাইন ও ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভ উদ্ধোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যুৎ বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গনভবন থেকে সরাসরি শুভ উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের শ্যামপুর ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র উদ্ধোধনে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃজসিম উদ্দীন যুক্ত হোন।
গনভবনে উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ কিন্তু অনেক বেশি হয়। এত বেশি খরচের টাকা আমরা কিন্তু এখনো ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ উৎপাদনের খরচ যেটা হয়, তার থেকে কিন্তু কম পয়সায় গ্রাহকদের আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। এই ভর্তুকি সব সময় দেওয়া সম্ভব না। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
তবুও এখন যেহেতু আমরা উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি করছি, সেজন্য মানুষের অসুবিধাগুলো আমরা দূর করতে চাচ্ছি।সেই ক্ষেত্রে আমি গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করব যে আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই মিতব্যয়ী হবেন, সাশ্রয়ী হবেন। অহেতুক বিদ্যুৎ আপনারা অপচয় করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,২০২০ থেকে ২০২১- এই বছরের মধ্যে আমরা সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ঘরে আলো জ্বালব। শতভাগ বিদ্যুৎ আমরা দিতে পারব। ইতোমধ্যে আমরা ৯৭ ভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি এবং আমরা আশা করি, এই ২০২১ সালের মধ্যে আমরা শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারব। সেভাবে আমরা পরিকল্পনাও নিয়েছি।”আমার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনাদের সাধারণ মানুষদের সহযোগীতা করতে হবে। আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে।
গণভবন থেকে এই অনুষ্ঠানে বগুড়ায় কনফিডেন্স পাওয়ার কোম্পানির ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নোয়াখালীতে এইচএফ পাওয়ার কোম্পানির ১১৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ মহাস্থানগড়, রাজশাহী (উত্তর), চৌদ্দগ্রাম, ভালুকা, বেনাপোল, শরীয়তপুর, শ্যামপুর, শেরপুর (বগুড়া), কুড়িগ্রাম, নড়াইল ও রাজেন্দ্রপুরে১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র এবং পটুয়াখালী (পায়রা)-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন (প্রথম সার্কিট),
যশোর-বেনাপোল ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন, শরীয়তপুর-মাদারীপুর ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন, তিস্তা-কুড়িগ্রাম ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন, মাগুরা-নড়াইল ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন ও পটুয়াখালী-পায়রা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনেরও উদ্বোধন করা হয় অনুষ্ঠানে।
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃজায়েদুল আলম,নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক,নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ড.মোঃইমতিয়াজ,নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রমূখ।