দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় কবি নজরুল কলেজের মেধাবী ছাত্র ও কুতুবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাজিব তালুকদার (ভিপি) কে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস ভাবে হত্যার প্রকৃত খুনি মিঠুন গ্যাং সানজিদ, কাউসার, আলামিন, রাব্বি, ফয়সালসহ সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় পাগলা বাজার আফসার করিম প্লাজার সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়।
কুতুবপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নিহত রাজিব তালুকদারের বাবা হাসু তালুকদার, কুতুবপুর ইউনিয়ন ১৪ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোজাফফর সিং, বাইতুল আমান জামে মসজিদে সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড কমিউনিটিং পুলিশের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, কুতুবপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি রশিদ মোল্লা, যুবলীগ নেতা মেহদী হাসান, যুবলীগ নেতা ইমরান হোসেন ইদ্রান, আরিফ হোসেন, সুজন।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও অসংখ্য কুতুবপুরের সকাল শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়। এমনকি দ্রুত ভিপি রাজিব হত্যাকারিদের গ্রেফতার করে ফাঁসিরও দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারি দেন তারা। নিহত ভিপি রাজিব কবি নজরুল কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ ফতুল্লার পাগলায় গত ৭ মাস পূর্বে মিঠুন বাহিনীর হামলায় আহত রাজিব ওরফে ভিপি রাজিব (২৪), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যায়। এর আগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পাগলা জেলে পাড়া এলাকায় ভিপি রাজিবকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে মারাত্যক জখম করে মিঠুন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে তাকে উদ্বার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীনাবস্থায় রাত ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় ভিপি রাজিব।
ভিপি রাজিব হত্যার পর রাজিবের বাবা হাসু মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে পাগলা জেলেপাড়ার মিঠুন (৩৭), রাব্বি (২৪), ইয়াসিন (২০), কাউছার (২৭), মিলন (৪০), আলামিন ওরফফে কেবলা আলামিন (২৭), সানজিদ (৩৭), চাঁদ শিকদার সেলিম (৩৫), ফয়সাল (২২), সোলেমান ওরফে কুট্টি (৩৭), আ: জলিল (৫০), মানিক ওরফে কুত্তা মানিক (৪০)সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং ৬) দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হলেও এই পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি চাঁদ শিকদার সেলিম, তার সহযোগী সোলাইমান কুট্রি গ্রেপ্তার হলেও ধরা পড়েনি মূল খুনি মিঠুন, রাব্বি, ইয়াসিন, কাউছার, মিলন, আলামিন ওরফে কেবলা আলামিন, সানজিদ, ফয়সাল, আ: জলিল, কুত্তা মানিক।
ঘটনার গত সাত মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে না করায় তারা এ মানববন্ধন করে।