দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি নিয়ে সভাপতি খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তুর মধ্যে সদ্য দন্ধের দাগ প্রকাশ্যে দেখা গেলেও, অভিযোগ রয়েছে অন্দরমহলে তাদের সর্ম্পক ঠিক তার উল্টো। নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে এই দুই নেতার সুকৌশলী রাজনীতির বলি হচ্ছেন কমিটির বাকিরা।
এদিকে লক্ষ্য করে দেখা যায়, কমিটি ঘোষনার পর থেকে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান সহ আরো কয়েকজন সহ-সভাপতি এবং বেশ কয়েকজন নেতা পরিবারতন্ত্র ও পকেট কমিটির অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। আর সেই থেকে দলীয় কর্মসূচি গুলো তারা আলাদা ব্যানারে পালন করে আসছেন।
মহানগর যুবদলের সুপার ৫ এর সাথে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের আলোচনার পর থেকেই গনেশ উল্টে যায়। হঠাৎ করেই নাটকীয় অধ্যায়ের সূচনা করেন মন্তু। বিদ্রোহীদের পাল্লাভারি করে তাদের তালিকায় যুক্ত হন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু “এ যেন মেঘ না চাইতে বৃষ্টি”। আর সেই থেকেই শুরু হয় খোরশেদ আর মন্তুর নয়া নাটক। প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে শোখন, মন্তু ও সাগর প্রধানের নেতৃত্বে যুবদলের সদস্য ফরম বিতরন শুরু হয়। আর সভাপতি ঘরে বসেই নেতাদের ঢেকে এনে ২/১ টা ফরম দিতে থাকেন।
এদিকে যুবদলের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করে বলেন, খোরশেদ ও মন্তুর নয়া কৌশলের বলি হতে পারেন প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করা সংগঠনটির নেতারা। কারন গোপন সূত্রে জানা যায়, এবার মহানগর যুবদলের কমিটিতে সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তু আর সাধারণ সম্পাদক পদে রানা মুজিবকে আনতে বেশ চেষ্টা করে যাচ্ছেন খোরশেদ।
যারফল শ্রুতিতে হঠাৎ করেই বিদেশে থেকে সংগঠনটির সহ-সভাপতি পদে স্থান পাওয়া রানা মুজিব ছুটে আসেন দেশে। আর বেশ জোড়ে সোড়ে খোরশেদের নানা কর্মসূচি গুলোতে সহযোগীতা করছেন তিনি।
অন্যদিকে, রানা মুজিব দেশে আসার পর থেকেই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু যোগদেন রাজপথে সক্রিয় বিদ্রোহী নেতাদের সাথে। ধারনা করা হচ্ছে, খোরশেদ ও মন্তু নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই প্রতিটি ওয়ার্ডে তাদের লোকদের রাখার জন্যই দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছেন কৌশল অবলম্বন করে।
অপরদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, মন্তুর ভাগিনা মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান প্রকাশ্যে খোরশেদের সাথে কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করছেন। আবার মামা মন্তুর সাথেও কর্মসূচিতে থাকছেন এ যেন “ ঘুরি ফিরি বটতল” অবস্থা বৃদ্ধমান।
অথচ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু নিজেই বলেছেন যে খোরশেদের সাথে রাজনীতি করবে বা তার বাড়িতে যাবে সে দলের নয় ব্যাক্তি রাজনীতি করে। আর যারা ব্যাক্তি রাজনীতি করবে তাদের সাথে যুবদলের কোন সর্ম্পক নাই। তারা যুবদলের কেউ না। সেই সকল নেতা ও কর্মীদেরকে সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে ধুরে রেখেছেন তিনি।
এ বিষয় মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, যারা ব্যক্তির রাজনীতি করবে আমাদের এখানে তাদের কোন স্থান নাই আর ভবিষ্যত্বেও পাবে না। তার ভাগিনা আরমানের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে আমার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে খোরশেদের সাথে কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেছে। কারন এ অনুষ্ঠানটি তার বাড়ির পাশে হয়েছে।
তাহলে বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার বুঝা যায়, খোরশেদ ও মন্তুর মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধের দাগ দেখা গেলেও, আসলে অন্দরমহলে রয়েছে রাজনৈতিক সুকৌশলী সর্ম্পক।
যারফল শ্রুতিতে, মহানগর যুবদলের সকল নেতা কর্মীদের জন্য মন্তুর আলাদা সাংগঠনিক নিয়ম থাকলেও নিজের ভাগিনার জন্য রয়েছে এর ঠিক উল্টো। আর খোরশেদের মিশন সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তু আর সাধারণ সম্পাদক রানা মুজিব বাস্তবায় করার জন্যই মন্তুর বিদ্রোহ।