দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৭ বৎসরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান (১৯) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানা’র মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে সে বন্দর নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার আসমা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এ ব্যাপারে কিশোরীর পিতা ২জনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন। যার নং-১৬(১১)২০ইং।
জানা যায়, নবীগঞ্জ হাজী সিরাজ উদ্দিন হাই স্কুল সংলগ্ন আসমা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আলী মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই এলাকার মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়ার কিশোরী মেয়ের সাথে মাস খানেক যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সুবাদে মাঝে মাঝে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াত। তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ই নভেম্বর রাত ৮টায় মেহেদী হাসান নবীগঞ্জ হাজী সিরাজ উদ্দিন হাই স্কুল সংলগ্ন আসমা বেগমের নির্মাণধীন ৫তলা ভবনের ৩য় তলায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীটির ইচ্ছের রিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ঘটনাটি কিশোরী লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ না করলেও ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টায় মেহেদী হাসানের বন্ধু জাবেদ মোল্লা’র প্ররোচনায় পূর্নরায় কিশোরীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ফের বাগবাড়ী পচাঁর বাগ মাজারের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষন করে মেহেদী হাসান।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ও ধর্ষিতা কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।