দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ঘনিয়ে আসছে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের নির্বাচন। আর যেখানে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন খোদ একই দলে বিভক্তিতে থাকা দুই মেরুর আইনজীবীরা। তাই নির্বাচনে একে অপরকে ভোটের লড়াইয়ে হারাতে প্রতিনিয়তই নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। শুধু তাই নয় অনেক সিনিয়রদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রকৃত মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে সাধারণ আইনজীবীদের কাছ থেকে।
বৃহস্পতিবার ৩ ডিসেম্বর সেই কৌশলেরই অবলম্বন করা হলো এই নির্বাচনকে ঘিরে। যেখানে এ্যাড. আবদুল হামিদ ভাষানী ও এড. আজিজ আল মামুনের প্যানেলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লাকে ভোটের লড়াইয়ে বশে আনতে অপর প্যানেলের সিনিয়র আইনজীবি এ্যাড. মাসুদা বেগম শম্পাকে সরিয়ে তাদের জুনিয়র আইনজীবি এ্যাড. আনোয়ার প্রধানকে আনা হয়েছে।
অথচ সিনিয়র আইনজীবি এ্যাড. মাসুদা বেগম শম্পা নিজের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সকলের অনুরোধে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। আর সেই সুবাদে শুরু থেকেই প্রচার প্রচারোনায় অংশ গ্রহন করে ছিলেন। কিন্তু শেষ মুর্হুতে এসে এ্যাড. মাসুদা বেগম শম্পাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়াটাকে কিভাবে নিচ্ছেন ভোটাররা তা এখন দেখার বিষয়।
এ বিষয় এ্যাড. মাসুদা বেগম শম্পা বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার কোন ইচ্ছে আমার ছিলো না। কারন আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ তবুও সিনিয়রদের অনুরোধে আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলাম। আর আমার ভোটারদের প্রতি আস্থা আছে। তাছাড়া বিগদ দিনে আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভোটে আমার জয় সেটাই প্রমান করে। কিন্তু শেষ মুর্হুতে এসে দলের প্রয়োজনে সিনিয়ররা আমাকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি সেটা মেনে নিয়েছি এর বেশি আমি আর কিছু বলতে চাই না।
আপনার মত একজন সিনিয়র আইনজীবিকে শেষ মুহুর্তে মূল্যায়ন না করে জুনিয়রকে নির্বাচনে দেয়াটা ভোটাররা কিভাবে দেখছে, আর আপনি বিষয়টা কিভাবে নিচ্ছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এখন আমার জায়গায় অন্য কাউকে ভোটাররা কিভাবে নিবে সেটা আমি বলতে পারছি না। আর এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতেও চাই না। তবে আমি নির্বাচন থেকে সরেছি সিনিয়রদের সিদ্ধান্তের কারনে।
এদিকে, একই ঘরে থেকে বিভক্তির কারনে নির্বাচনে দুটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে। এর মধ্যে একটি পক্ষের এ্যাড. আবদুল হামিদ ভাষানী, সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. আজিজ আল মামুন, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে এ্যাড. সীমা সিদ্দিকী, যুগ্ম সম্পাদক পদে এ্যাড. আনিসুর রহমান মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ্যাড. আলী হোসেন।
অপর প্যানেলে রয়েছেন সভাপতি পদে এ্যাড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে এ্যাড. আজিজুল হক হান্টু, যুগ্ম সম্পাদক পদে এ্যাড. এইচএম আনোয়ার প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ্যাড. ওমর ফারুক নয়ন।