দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ঘনিয়ে আসছে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের নির্বাচন। আর যেখানে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন খোদ একই দলে বিভক্তিতে থাকা দুই মেরুর আইনজীবিরা। তবে দলের দু:সময়ে এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির পন্থী আইনজীবিদের মধ্যে থাকা বিভক্তিকে প্রকাশ্যে পাকাপোক্ত করা হলো। শুধু তাই নয় অনেক সিনিয়রদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রকৃত মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে সাধারণ আইনজীবীদের কাছ থেকে।
এদিকে সাধারণ আইনজীবিদের কাছ থেকে আরও অভিযোগে জানা যায়, একই দলে থেকে পদ পদবির জন্য ঘরের ছেলেদের এই লড়াই আমরা কখনই সহজ ভাবে নিতে পারছিনা। শুধু তাই নয় ৫টি পদের জন্য ঘোষিত নির্বাচনে সিনিয়রদেরকে বাদ দিয়ে তাদের জুনিয়রদের মূল্যায়ন করে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছেন।
আর তাদের এই সকল আচরনের কারনেই কিছু সুবিদাবাদী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে ফায়দা লুটে বিএনপি পন্থী আইনজীবিদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলছে। একই পন্থী হয়েও নিজেদের মধ্যে থাকা বিভেদকে প্রকাশ্যে নির্বাচনে এনে দল কতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
আর ক্ষমতাশীনরা এই সুযোগ ব্যবহার করে কতটা ফায়দা লুটছে সেটা এখন দেখার বিষয়। তারা আরও বলেন, প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে এই বিভেদের নির্বাচন আগামী আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বলে আমরা ধারনা করছি। এদিকে, নির্বাচনে একে অপরকে ভোটের লড়াইয়ে হারাতে প্রতিনিয়তই নানা কৌশল অবলম্বন করছেন।
যে কৌশল আইনজীবি সমিতির নির্বাচনেও দেখা যায় না। লক্ষ্য করে দেখা যায়, সিনিয়র আইনজীবি এ্যাড. মাসুদা বেগম শম্পা নিজের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সকলের অনুরোধে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। আর সেই সুবাদে শুরু থেকেই প্রচার প্রচারোনায় অংশ গ্রহন করে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুর্হুতে এসে এ্যাড. মাসুদা বেগম শম্পাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়াটাকে কিভাবে নিচ্ছেন ভোটাররা তা এখন দেখার বিষয়।
এদিকে, প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে পদ পদবি আকড়ে রাখতেই প্রতিদ্বন্দিতা করা নির্বাচনে ৫টি পদে ভোটের লড়াই হবে। যেখানে দুই প্যানেলের মধ্যে একটিতে সভাপতি এ্যাড. আবদুল হামিদ ভাষানী, সাধারণ সম্পাদক পদে এড. আজিজ আল মামুন। অপরটিতে সভাপতি এ্যাড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জাকির।
অপর প্যানেলে রয়েছেন সভাপতি পদে এ্যাড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে এ্যাড. আজিজুল হক হান্টু, যুগ্ম সম্পাদক পদে এ্যাড. এইচএম আনোয়ার প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ্যাড. ওমর ফারুক নয়ন।
এই দুই প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে যাদেরকে নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন সময় নানা সমালোচনা তা ধারাবাহিকতার সহিত আসবে ভোটারদের সামনে। যাতে করে ভোটাররা প্রকৃত নেতৃত্ব খোজে নিতে পারেন সহজেই।