দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর বুধবার রাতে আহতের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় সৎ মা ও তার দুই ভাইকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২১(১২)২০ ধারা- ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৪ দঃবিঃ।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত ৫ বছর পূর্বে বন্দরের মালামত এলাকার মৃত ওমর আলী বেপারীর ছেলে ইব্রাহীম (৫৫) প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগমকে রেখে ৪ সন্তানের জননী শাহীনুর বেগমকে ২য় বিবাহ করে। বিয়ের পর থেকে আমার সৎ মায়ের সাথে আমার পিতার বনিবনা না হওয়ার কারনে খারাপ ব্যবহার করে আসছে। বেশ কিছু দিন যাবৎ আমার সৎ মা শাহীনূর বেগম ও তার ভাই আফজাল ও আবু পরচনায় আমার পিতার নিজ নামিয় সম্পত্তী আমার সৎ মায়ের নামে লিখে দেওয়ার জন্য প্রচন্ড ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে আমার সৎ মা তার দুই ভাইয়ের পরচনায় আমার পিতাকে দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। পরে উল্লেখিতরা ঘুমান্ত অবস্থায় ব্লেড দিয়ে আমার পিতার গোপনঙ্গ পুরুষাঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায়।
পরে আমার পিতার ডাক চিৎকার শুনে আমি আমার চাচা ভাই আমির গত ৩০ ডিসেম্বর বুধবার ভোর সাড়ে ৪টায় আমার পিতা ঘরে এসে আমার পিতাকে রক্তাক্ত াবিস্থায় দেখতে পায়। পরে আমার চাচাত ভাই আমাদেরকে সংবাদ দিলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমার পিতাকে মুমুষৃ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মদনপুর দি আল-বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে আমার পিতার অবস্থায় আশংকা জনক বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ধামগড় ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক সিরাজ দৌল্লা গনমাধ্যমকে জানান, সংবাদ পেয়ে আমিসহ আমার সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুরুষঙ্গ কর্তনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
আহত ইব্রাহীমের প্রথম স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয়া মেয়ে আইরীন জানান, তার পিতা ইব্র্হাীম তার মাকে রেখে ২য় বিয়ে করার পর আর তাদের বাড়িতে থাকেনা। সে তার সৎ মাকে নিয়ে অন্যবাড়িতে বসবাস করে, পিতার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার সংবাদ পেয়ে রাত ৩টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেয়া হয়।
তিনি আরো জনান, তার সৎমা শাহীনুর বন্দরের হালুয়াপাড়া এলাকার মৃত হযরত আলীর মেয়ে। সেছিল তার মামি শ্বাশুড়ি। তার মামা শ্বশুড় আলী হোসেনকে বিভিন্ন ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করে নিস্ব করার পর তার পিতার সাথে বিয়ে করে। তার পর থেকে তার পিতা তাদের সাথে তেমন একটা যোগাযোগ রাখেনি।
এলাকাবাসী জানান, ইব্রাহীমের সাথে বিভিন্ন মহিলাদের সাথে সখ্যতা ছিল। এনিয়ে তার ২য় স্ত্রীর সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। এর সূত্র ধরেই ২য় স্ত্রী তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। এলাকাবাসী আরো জনান, ইব্রাহীমের এক ভাই অনেক বছর আগে এক মহিলাকে ধর্ষণ করতে গিয়ে খুন হয়।
এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়েছি তবে কেহ থানায় অভিযোগ করেনি। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যপারে ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহাম্মেদ জানান, ইব্রাহীমকে নিয়ে কয়েক দফা বিচার সালিশ হয়েছে। তবে তার পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।