দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লায় অটো রিক্সা চোরদের সরদার আজমীর ও তার সহযোগী সহিদ এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা রিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন।
রবিবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে ফতুল্লা পঞ্চবটি মোড়ে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ।
এ সময় সদর উপজেলা রিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক বলেন,সাধারন খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের তিলতিল করে জমানো এবং কিস্তিতে টাকা তুলে একটি অটো রিক্সা বা মিশুক ক্রয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। অথচ আজমীর ও সহিদগংরা সেই গাড়িগুলো চুরি করে নিয়ে মালিকদের কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আর যে সকল মালিক টাকা দিতে না পারে তাদের গাড়ির অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে।
আমি ফতুল্লা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা আজমীর ও সহিদকে আটক করেছে। আমি তাদেরকে আহবান করবো ফতুল্লার কাশিপুরে এমন একটি চোর চক্র রয়েছে যারা বিএনপি-জামাতের মদদপুষ্টে এখন অসহায়-নিরীহ মালিকের সেই ক্ষুদ্র সম্পদটি চুরি করে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছে। পুলিশ ভাইয়েরা আপনারাসেই সকল চোরদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিন তাহলে অন্তত গরীব মালিক-চালকরা রক্ষা পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা রিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা মালিক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আব্দুল জব্বার, কাযকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন,সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন মুন্না, সদর উপজেলা রিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধক্ষ্য আনোয়ারুল কবির, শ্রমিক কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মিজাম,প্রচার সম্পাদক মামুন,মোঃশরিফ,নুরু ইসলাম,
নবু মিয়া,সিরাজ,মোঃ দুলাল প্রমুখ। উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে ফতুল্লা পুলিশের অস্ত্র চুরিসহ একাধিক মামলার আসামী ঢাকা- নারায়নগঞ্জ সড়ক পথের পেশাদার ছিনতাইকারী বাহিনী প্রধান আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীরকে দুই সহোযোগি সহ গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেয়া ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুরের দাপা নামা মসজিদ এলাকার শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদের পুত্র আজমীর(২৫),আলীগঞ্জ স-মিল গলির সোহেলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া রতন সরদারের পুত্র আল- আমিন(২৫)ও ফতুল্লা তক্কার মাঠ এলাকার মৃত আকবরের পুত্র শিশির(২৮)। গ্রেফতারকৃত আজমীরের বিরুদ্ধে পুলিশের অস্ত্র চুরি মামলা সহ ডাকাতি,মাদক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা যায়। এসময় ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে থানা পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ করে আজমীরসহ তার সহযোগীদেরকে থানা হাজত থেকে ছাড়িয়ে নিতে এসে গ্রেফতার হন শহিদ।