দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন,খারাপ মানুষের সংখ্যা কম।
হয়তো তারা থাকবে নয়তো আমরা থাকবো।গোগনগর ইউনিয়ন বাসীকে লজ্জা নিয়ে থাকতে দিবনা। গোগনগরে মাদকের উৎপাত বেশী তাই আমরা গোগনগর কে বেছে নিয়েছি।
আপনারা আমরা এক থেকে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করেছি। বড় বড় কথা বলবেন অথচ নিজের সন্তান মাদক খাবে এমন মুনাফেকি কাজ করবেননা। সময় এসেছে আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আপনারা ঠিক থাকলে ২% লোক ঠিক থাকতে পারবেনা। আমরা চাই ভাল সমাজ ব্যবস্থা। জনগনকে এ বিষয়ে আগে এগিয়ে আসতে হবে।প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী কমিটি গঠন করতে হবে। এখানে কোন রাজনীতি করা যাবেনা।
মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী)বিকালে পুরান সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজামান এর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল মোঃ মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন সওদাগর, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ আল মামুন,
বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জসিমউদ্দিন, সমাজ প্রধান নাজির হোসেন ফকির ও দাতা সদস্য বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়,সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ ফজর আলী, মুক্তিযোদ্ধা মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবিএম আজহারুল ইসলাম,গোগনগর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন সওদাগর,
প্যানেল চেয়ারম্যান সৈকত হোসেন বেপারী, ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন কাবিল, শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক মেম্বার, পাভেল সওদাগর,আলহাজ সৈয়দ হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন,সন্ত্রাস আন্তর্জাতিক নয় আঞ্চলিক পর্যায়ের। এখন দেশে জঙ্গি বাদ নেই। মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীদের সাথে কোন আতœীয়তার সম্পর্ক করবোনা।
মাদক নির্মূল কে স্বাধীনতার যুদ্ধ হিসেবে মনে করে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করতে হবে।দেশকে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশের উন্নয়নে বাঁধা গ্রস্থ করতে চায়।দেশ ও সরকার বিরোধী কোন গুজবে কান না দিতে এলাকাবাসীর প্রতি জোর দাবী জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ জামান বলেন দেশ ও পদ পেয়েছি মুক্তিযোদ্ধাদের কারনে।নিরাপদ সমাজ গঠনে মাদক নির্মূলে প্রয়োজনে বাড়িওয়ালাদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে।
বাড়ির সামনে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিব মাদক বিক্রেতাদের বাড়ি। এতে করে তারা সামাজিক ভাবে হেনস্তা হবে।
পরে নাজির হোসেন ফকির কে সভাপতি ও মোহাম্মদ উল্লাহ আল মামুন কে সাধারণ সম্পাদক করে ২ সদস্য বিশিষ্ট মাদক নির্মূল কমিটি ঘোষনা করা হয়।