দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া, সাবেক সাংসদ সালাউদ্দিন আহম্মেদ ও হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ১০ এবং পাবনায় ৪৭ জনকে কারাগারে প্রেরনের প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভা চলাকালিন সময় ঘটনাস্থলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে সমাবেশ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করলেও উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাদের সভা চালিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু,
প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মতিউর রহমান মতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, আজকে আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারি না পুলিশ এসে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। আমরা এই দেশের নাগরিক হয়েও কথা বলার অধিকার পাচ্ছিনা, মানুষের মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার নেই। এই ভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম পদবী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করার সামিল। অচিরেই এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। সেই সাথে বিএনপির সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি দিতে হবে। নতুবা আমরা কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দিবো।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, সরকারের ভুয়া ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আমরা এখানে দাড়িয়েছি। অথচ আমাদের ন্যায দাবির কথা আমি বলতে পারিনা। সাংবাদিকদের কলমকে নিয়ন্ত্রন করছে, তাদের ইচ্ছা থাকলেও সত্য কথা লিখতে পারছে না। তাই আমরা আন্দোলন করছি সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতার জন্য, ভোটাধিকার, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এই অনির্বাচিত সরকার অচিরেই গণউথানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে ছিটকে পরবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, এ্যাড. রফিক আহম্মেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাষ্টার, সাস্থবিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু,
সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সুমন মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক রোমান, সহ-প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু,
মহানগর বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মিয়াজী, ফেরদৌসুর রহমান, শওকত আলী লিটন, হারুন শেখ, আলী হোসেন, আল আরিফ, ফয়েজ উল্লাহ সজল, আল মামুন, কামরুল হাসান ছাউদ চুন্নু, জজ মিয়া, শহীদ মেম্বার,মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক লিটন, খালেদ মামুন, ফজলুল হক, আনিছুর রহমান জুয়েল,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাসিব, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, জাহিদ, কাইউম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।