দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের “বীরউত্তম খেতাব” বাতিলের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠি চার্জ করায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপি।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, এ্যাড. রফিক আহম্মেদ,
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসলাম ইসমাইল, আওলাদ হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে ? তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে চুপ করে বসে থাকেননি, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। আর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানীদের কাছে আত্মসমর্পন করে কারাগারে চলে গেছেন এবং আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে গিয়ে দিব্বি আরামে দিন কাটিয়েছেন।
অথচ এই অবৈধ সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। মানুষের মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের জনগণের উপর আওয়ামী লীগ সরকারের কোন আস্থা নেই। তাইতো রাতের আধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে।
এখন তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমি সরকারকে হুশিয়ার করে বলতে চাই এই নোংরা খেলা খেলবেন না। তাহলে এর জবাব আপনাদের দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের লাঠি চার্জের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এই ঘটনায় আটককৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করছি।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসে মানুষের উপর দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে চুষে খাচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদের ডিজিটাল আইনের নামে তাদের কলম নিয়ন্ত্রন করছেন। আপনাদের অবৈধ কর্মকান্ড জনসাধারণের কাছে তুলে ধরলেই সাংবাদিকরা মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে কারাগারে যাচ্ছে।
দেশে বাকশাল কায়েম করে মানুষের অধিকার হরণ করে নিচ্ছেন। তাই এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে নিয়ে গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাষ্টার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মুজিবুর রহমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু, প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তরিকুল ইসলাম বুলবুল, সহ-প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু,
মহানগর বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম সরদার, ফয়েজ উল্লাহ সজল, কামাল, হুমায়ুন কবির, নবী, সাফী আহম্মেদ, হারুন শেখ, শহীদ মেম্বার, ফেরদাউসুর রহমান, আলী হোসেন, আনোয়ার হোসেন বকুল, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, আলী ইমরান শামীম,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল হাসিব, রাজু আহম্মেদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন, কায়ুম,
মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, লিটন মিয়া, জামাই মনির, খালেদ মামুন, ফজলুল হক, আনিছুর রহমান জুয়েল, পরিবহন শ্রমিক দল নেতা বাচ্চু মিয়া, শহীদ হোসেন, বাদশা মিয়া, বিল্লাল বেপারী, জাকির হোসেন, আলী হোসেন, স্বপন মিয়া, কাউছার আহম্মেদ সুমন,
সদর থানা ছাত্র দলের যুগ্ম-আহবায়ক হৃদয়, বন্দর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক মিয়া, রিপন সহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।