মানবতাবাদী বাউল দার্শনিক লালন ফকিরের ১২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চারণ সাংস্কৃতি কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর)বিকেল ৫টায় ২নং রেল গেইটস্থ জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাউল দার্শনিক লালন ফকীর আমাদের দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। তিনি ছিলেন মরমী কবি ও সংগীতকার। প্রায় একশত বছর ধরে লালন ১০ হাজার গান রচনা করেছিলেন। তিনি নিজে লেখাপড়া জানতেন না, কিন্তু তার সঙ্গীতের তত্ত্ব কথা গভীর পান্ডিত্যের সাক্ষী দেয়। বাংলার নবজাগরণে রামমোহনের যে গুরুত্ব তেমনি বাংলার লোক মানুষে লালনেরও সেই গুরুত্ব। লালন ধর্মের ভেদাভেদ, জাতিভেদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।
সেজন্য হিন্দু- মুসলিম ধর্মীয় গোড়াবাদীরা তার বাউলমতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এমনকি হামলাও করেছিলেন। ১৯৬২ সালে কুষ্টিয়া জেলার নাম লালনশাহী করার প্রস্তাব দিলে মৌলবাদীদের বাঁধার মূখে তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজকে বাংলাদেশে যেখানে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ হয়, ধর্মান্ধ মৌলবাদী জঙ্গীরা মুক্ত চিন্তার মানুষদের হত্যা করে, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা করে সেখানে লালনের সঙ্গীত, তত্ত্বকথা, জনগণের সামনে নিয়ে আসা প্রয়োজন। .আলোচনা সভা শেষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা লালন সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক প্রদীপ সরকারের সভপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, চরণের কেন্দ্রীয় ইনচার্জ নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, চারণের সংগঠক জামাল হোসেন প্রমূখ।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)