দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় অবস্থিত জাহিন নিটওয়্যারের আগুন নামের একটি রপ্তানিমুখি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিট।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ওই পোশাক কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে আগুন নেভাতে শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
জাহিন নিটওয্যারের মালিক এম জামালউদ্দিন জানান, শুক্রবার কারখানা বন্ধ ছিল। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে আসতে ৩০-৩৫ মিনিট দেরি হয়। আগুন ২, ৪, ৫ ও ৬ নং ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা কর্মীরা পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন।
পুলিশ বিদ্যুৎ বিভাগকে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবে প্রতিটি ইউনিটের উপরের অংশ স্টিল স্ট্রাকচারের এবং কাঠ ও বোর্ড দিয়ে ভেতরের অংশে ডেকোরেশন করা।
আমরা মূলত গেঞ্জি, পলো শার্ট, জ্যাকেট, ট্রাউজার এসব তৈরি করি। প্রতিটি ইউনিটের উপরের অংশগুলোতে এসব তৈরি পোশাক প্রচুর পরিমাণে ছিল। আগুন এসবে লেগে বেশ উঁচু হয়ে জ্বলতে থাকে। আমাদের প্রতিটি ইউনিট-ই বিশাল। এর মধ্যে ৫নং ইউনিট ২৫ হাজার স্কয়ার ফিটের। ফলে আগুনে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের আশপাশে বেশ কিছু শ্রমিক বসবাস করেন। দূর থেকে ধোঁয়া দেখে তারা আগুন নেভাতে আসেন। প্রচুর ধোঁয়া পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ার কারণে পাশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির ২নং ইউনিটের দোতলা শেডের আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
কিন্তু সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে শ্রমিকরা সেখানে ঢুকে জানালার কাঁচ ভেঙে দেন যাতে ধোঁয়া বের হতে পারে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে তারা নেমে এসে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত অপারেটর জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনারগাঁও রোডের অলিম্পিক বিস্কুট ফ্যাক্টরির উল্টো দিকে জাহিন নিটওয়্যার কারখানায় আগুন লাগার খবর পান তারা। কারখানা কমপ্লেক্সের তিনটি দোতলা ভবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলাগুলোতে আগুন জ্বলছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।