দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: কোভিড-১৯ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গনহারে দেশের প্রতিটি নাগরিকের কোভিড প্রতিশোধক ভ্যাক্সিন নেবার নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু সেই ভ্যাক্সিন নিতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ট্রাক চালকরা এমনটাই অভিযোগ করেছেন পঞ্চবটি ট্রাক চালক ইউনিয়নের শ্রমিকেরা।
অন্যদিকে শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়ে সম্পর্কে অবগত নন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিন্তু সভাপতি বলছেন কিছুদিনের জন্য সাধারণ সম্পাদক ছুটি থাকার কারনে তার নলেজে এই বিষয়টা নেই।
শনিবার(৫ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক পঞ্চবটি ট্রাক চালক ইউনিয়নের শ্রমিকদের গনহারে ভ্যাক্সিন পঞ্চবটি দেবার কথা থাকলে তা কয়েক ঘন্টার মধ্যে স্থান পরিবর্তন করে নিয়ে যাওয়া নিতাইগঞ্জ জিমখানা মাঠ। যা সরকারীভাবে সকল ধরনের মানুষ টিকা নিচ্ছে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যাদের টিকা গ্রহণকারীরা।
জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কিছুদিন আগে পঞ্চবটি ট্রাক চালক ইউনিয়ন থেকে শ্রমিকদের ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করা হয় কিন্তু তার কিছুদিন পর গত মাসের ২৭ তারিখ ভ্যাক্সিন দেবার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ আনা হয় পঞ্চবটি ট্রাক স্ট্যান্ডে।
কিন্তু সকালে শ্রমিকেরা টিকার নিবন্ধন কার্ড সাথে করে টিকা দিতে আসলে জানতে পারেন টিকা নিজাইগঞ্জ মন্ডলপাড়া দেওয়া হবে।কিছু শ্রমিক এসে টিকা দিয়ে যান এবং কিছু শ্রমিক অভিযোগ করেন হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তন করায়।
শ্রমিকরা জানায়,আমরা জানি আজকে আমাদের টিকা এখানে দেওয়া হবে কিন্তু সকালে টিকার কার্ড নিয়ে আসলে শুনতে পারি টিকা নিতাইগঞ্জের মন্ডলপাড়া দেওয়া হবে।এভাবে আমাদের হয়রানি না করলেও পারতো। আগে বলে দিতে পারতো। এই যে গাড়ী ভাড়া দিয়ে যাওয়া তারপর এসে আবার কাজ করা।
টিকা নেবার পর তো আমাদের কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার নিয়ম আছে কিন্তু এখানে তার সুযোগ কই।টিকা দিয়ে এসেই কাজে লেগে পড়তে হচ্ছে। আমরাও তো মানুষ।এভাবে আমাদের শ্রমিকদের হয়রানি কতৃপক্ষের করা উচিত নয়।
এবিষয়ে জানতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসটি আলমগীরকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানায়,আমাকে শ্রমিকদের যে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে সেই বিষয়ে জানাই নাই কিছু। আমি কিভাবে বলবো।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃখোরশেদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২৭ তারিখ আমাদের বলা হয় ডিসি বরাবর আমাদের শ্রমিকদের টিকা দেবার ব্যবস্থা করর জন্য আর সাধারণ সম্পাদক এবিষয়ে জানে। উনার এভাবে বলাটা উচিত হয়নি।উনি কিছু দিনের জন্য ছুটি ছিলেন যেই কারনে উনার নলেজে আমরা এই বিষয়টি দিতে পারিনি।
শ্রমিকদের যে এই হয়রানি পঞ্চবটি থেকে এসে মন্ডলপাড়া টিকা দিতে এই বিষয়ে আপনেরা কি বলবেন,আমরা ১০৭ জনের টিকার জন্য লিস্ট দিয়েছিলাম কিন্তু আজকে ৬০-৭০ জন টিকা নিছে। আমরা শ্রমিক। আমরা সারাদিন কাজ করি আমাদের আবার কিসের বিশ্রাম।
আমি নিজেও তো এখান থেকে ভ্যাক্সিন নিয়েছি।আমি দেখেছি ভূইঘর সহ কত দূর দূর থেকে এসে মহিলারা রৌদ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিয়েছে আর শ্রমিকরা কেনো নিতে পারবে না।আর শ্রমিকেরা সাংবাদিকদের দেখলে অহেতুক বিভিন্ন অভিযোগ তুলবেই যা না হইছে তাও।
অনেক শ্রমিকের দাবী শ্রমিকদের এভাবে হয়রানি করার মূলে রয়েছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু।তাই তার সাথে মুঠোফোনে (০১৬৪৪-৪২৫০**)একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।