দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: হযরত আলী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী রাজিবকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারী ) রাত সাড়ে ৯টায় মাসদাইর কবরস্থান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজিব জামালপুরের মেলান্দহ বর্তমানে গাবতলী নতুর বাজার এলাকার মৃত আয়নাল এর ছেলে।
র্যাবের এএসপি মো.রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা হয়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নিহত হযরত আলী বন্ধু তার বন্ধু মোঃ জুবায়েত ইসলাম (১৯),মোঃ রিফাত (১৮), মোঃ কালা , রাজিব (১৯), জামাল উদ্দিন (১৯)’দের সাথে নারায়ণগঞ্জ আরটিভি লঞ্চ ঘাটে গিয়ে এমএল হাসিভ নামক লঞ্চে চড়ে বেলা অনুমানিক ১২ টার সময় চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন লেংটার মেলায় ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।
পথিমধ্যে সোনারগাঁ থানাধীন চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদী বরাবর লঞ্চটি আসিলে ভিকটিম লঞ্চটির পিছনে গিয়া টয়লেট করার জন্য নদী হতে বালতি দিয়া পানি উঠানোর সময় অসর্তকতা অবস্থায় লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে যায় মর্মে পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে লঞ্চ কর্র্তৃপক্ষ ও তার বন্ধুরা জানায়।
পরবর্তীতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ গজারিয়া কোষ্টগার্ড, গজারিয়া ও কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায় গত ৮ ডিসেম্বর বেলা অনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ চর হোগলা মেঘনা নদীর কিনারে কচুরিপানার ভিতরে একটি মৃত দেহ পড়ে আছে মর্মে ভিকটিমের বাবা
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি দেখে তার ছেলে হযরত আলীর লাশ মর্মে সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রির্পোট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তের রির্পোট প্রাপ্তির পর জানা যায় ভিকটিম অসর্তকতা বসত নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়নি। ভিকটিমের উপরোল্লেখিত বন্ধুরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলে দেয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ মরতুজ মিয়া (৬২) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোনারগাঁ থানার মামলা নং-৩৬ তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ইনচার্জ কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।