দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: দুর থেকে দেখলে মনে হবে এখানে এখনও পর্যন্ত শীতের আমেজ রয়েছে। রয়েছে প্রচুর কুয়াশা। কিন্তু সামনে অগ্রসর হলে তা মন থেকে দুরে সরে যাবে। এগুলো কোন শীতের কুয়াশা নয়,এগুলো হচ্ছে রাস্তার দু’পাশে পড়ে থাকা মাটিগুলো গাড়ির টাকায় পিষ্ট হয়ে ধুলোবালিতে পরিনত হয়েছে। আর ধুলোবালিতে পরিনত হওয়া সড়কটি বেশী দুরে নয় এটা হচ্ছে ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জের পুরোনো সড়কটি।
সরেজমিনে দেখা যায়,এ সড়কটিতে পঞ্চবটী পার হলে পোস্তগোলা ব্রীজের আগ পর্যন্ত রয়েছে ধুলোবালির রাজত্ব। তার উপর যানজট তো নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রায় ১৫ দিন যাবত তেলের পাইপ লাইনের কাজ চলছে ফতুল্লায়। ফতুল্লা বালুঘাট,দাপা বালুঘাট-আলীগঞ্জে বালু ও পাথর,পাগলা থেকে ঢাকা ম্যাচ পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে ইট-বালু-সিমেন্টসহ নানা প্রকারের ব্যবসা এবং উভয় পাশে নবনির্মিত ভবনের কাজের জন্য যত্রতত্র বালু ফেলে রেখে তা লোড-আনলোড করা আবার উক্ত স্থানগুলোতে কর্তৃপক্ষরা পানি না দেয়ার ফলে ধুলোবালির সাথে যুদ্ধ করাটা অনেকটা মেনে নিয়েছে যাতায়াতকারী মানুষগুলো।
কিন্তু সহনশীলের পর্যায়টা যখন অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায় তখন কিন্তু সেটা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয়। বর্তমানে রাস্তায় পাইপের কাজ করার ফলে একটু সরু হয়ে যাওয়া এ রুটটিতে ধুলোবালির বিষয়টি এমন চরম পর্যায়ে পৌছেছে যে সাধারন মানুষের পাশাপাশি রাস্তায় উভয় পাশের ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপদে। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে প্রতিনিয়ত ধুলোবালি প্রবেশ করে সেখানে রক্ষিত মালামালগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি রাস্তার উভয় পাশে খাবারের দোকানীরা দোকানের সামনে কোন পর্দার ব্যবস্থা না করার ফলে উড়ে আসা ধুলোবালি মিশ্রিত খাবারগুলো খেতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। যার ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।
এরুটে নিয়মিত চলাচলকারী ইজিবাইক চালকরা বলেন, ভাই এখানকার ধুলোবালির কথা মুখে বললে বিশ^াস করবেন না। তাছাড়া আপনিও তো যাতায়াত করেন। দেখেন না কি অবস্থা। সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে রাতের বেলায় বাড়িতে গেলে কারও বিশ^াস করার উপায় নেই যে আমি গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে এসেছি। দেখলে অনেকেই বলবে আমি কোন বালুচরে গিয়েছিলাম খেলাধুলা করতে। একই অবস্থা বড় যানবাহনের চালক ও হেলপারদের ক্ষেত্রেও। যানজট নিরসনের দ্বায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ কিংবা কমিউনিটি পুলিশের অবস্থাও একই। প্রচুর ধুলোবালির কারনে তারাও বিপাকে পড়েছেন এ রুটে ডিউটির কাজে।
অনেক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেন,ভাই খুব বিপদে আছি এ রুটে। একে তো যানজট তার উপওে আবার প্রচুর ধুলোবালি। এ যেন মরার উপড় খরার ঘা। রাস্তার দু’পাশের অনেক দোকানী বলেন, ধুলোবালির যন্ত্রনা থেকে বাচঁতে এক ঘন্টার পর পর পানি দেই। কিন্তু ৫ মিনিট পড়েই দেখি সেই আগের মত অবস্থা। গাড়ির চাকাতে রাস্তা ফেলা পানিগুলো দ্রুত চুষে নিয়ে যায় যার ফলে ধুলোবালি রোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
অনেক যাত্রী ও পথচারীরা বলেন,যানজট আর মাত্রাতিরিক্ত ধুলোবালি এ দু’টো এ রুটে যাতায়াতকারী সাধারন মানুষের সময় নষ্ট করার পাশাপাশি জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে। আর ধুলোবালির ফলে মানুষকে ভুগতে হচ্ছে শ^াস কষ্ট,এ্যাজমা,কাশিসহ নানাবিধ রোগে। আমরা অনতিবিলম্বে এ রুটের ধুলোবালি থেকে মুক্তি পেতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।