শেখ মুজিবকে তার দলের নেতারা হত্যা করেছে: এটিএম কামাল
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড.আবুল কালাম বলেন, বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি সে সময় একটি তলা বিহীন দেশের হাল ধরে ছিলেন। তিনি ছিলেন সিপাহী জনতার মিলিত শক্তি।
সে সময় দেশের পরিস্থিতি এমন ছিলো না। সে সময় শেখ মুজিব বলে ছিলো আমি পেয়েছি চাটুকার আর চোরের খনি। তিনি ক্ষমতায় এসেই বাকশাল ঘোষণা করেন। মানুষের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণ করে ছিলেন।
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় নগরীর কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত, এ আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন, হাজী নুরু উদ্দিন, আতাউর রহমান মুকুল, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, এ্যাড. রফিক আহম্মেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, হাজী ইসমাইল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউছার আশা, যুব বিষয়ক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন শোখন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম,মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, সদস্য হান্নান সরকার।
এ সময় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের ঘরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারলে সংগঠনকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। আপনাদের সহযোগীতায় আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামে মহানগর বিএনপি গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখবে।
আমরা পরিকল্পিত ভাবে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে যাবো। আগামী ১৪ তারিখের পরে যে কোন দিন সাংগঠনিক প্রথম সভা ও পরিচিত সভা করবো। তবে ১৩ তারিখ আমাদের একটি কর্মসূচি পালন করা হবে সকলেই উপস্থিত থাকবেন।
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জাতির বিবেক আপনাদের লিখনির মাধ্যমে সমাজের পরির্বতন ঘটাতে পারেন। তাই আপনাদের সহযোগী আমরা সব সময়ই পেয়ে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও পাবো।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। সে সময় তার পরিবারকে পাকবাহিনীরা জিম্মি করে রেখে ছিলো। তৎকালীন সময় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই।
দেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে দেশদ্রোহীর অপরাধে জিয়াউর রহমানের কি শাস্তি হতো। অথচ যুদ্ধকালিন সময় দেশকে ফেলে শেখ মুজিব পাকিস্তানীদের কাছে আত্মসমপর্ন করে ছিলো।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিব দেশের গণতন্ত্র হত্যা, বাক-স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার হরন করে বাকশাল ঘোষণা করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবের যে পরিনত হয়ে ছিলো সেটার জন্য দায়ী খন্দকার মোস্তাক। তাকে হত্যা করেছে তার দলের নেতারা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আয়সা সাত্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, হাসান আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রুবায়েত হাসান সায়েম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মজিবুর রহমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ
সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক-৩ এ্যাড.শরিফুল ইসলাম শিপলু, সহ-প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা দিলারা মাসুদ ময়না, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকশাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হাসিনা মমতাজ লাকী,
মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষাণী, ফেরদৌসুর রহমান, শওকল আলী লিটন, সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার, আব্দুল মতিন ভাষানী, ফজলুল হক, হাফেজ সিব্বির আহম্মেদ, আল মামুন, আনোয়ার হোসেন, মাহমুদ, কাশেম, আব্দুল মালেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।