নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে মূলদল সহ অঙ্গসংগঠেনের কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই কর্মসূচি ছাড়া নেই তেমন কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ড। সুকৌশলে নিজেদের আখের গুছাতে মূলদল ও সহযোগী সংগঠনের পদ পদবি ভাগিয়ে আনতে সক্ষম হলেও।
সরকার পতন আন্দোলন থেকে শুরু করে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কর্মসূচিতে ফটোসেশনের রাজনীতিতে তারা এখন অভস্থ। এই কর্মকান্ড সাংগঠনিক ভাবে দলের কতটা কাজে লাগছে সেটা এখন দেখার বিষয়।
এদিকে, দলের কমিটি ভাগিয়ে আনতে সক্ষম পদওয়ালা নেতারা সংগঠনকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে নিয়েছেন কতটা উদ্যোগ তাও নেই এখনও চোখে পড়ার মত। জেলা বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই নেতৃবৃন্দদের মধ্যে কোন্দল ঘেসেছে বেশ জোড়েসোড়ে। ঠিক একই কায়দায় সহগযোহগী সংগঠনগুলো হাটছেন প্রায় একই পথ ধরে।
এদিকে, কমিটি গুলো ঘোষণা করার পর থেকেই নিজেদের মধ্যে তর্কবিতর্কে জড়ানোর ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের দোহাই দিয়ে থানা ও ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা যেন একেবারেই স্থবির হয়ে পড়েছে। আর এই তালিকায় রয়েছে জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতী দল, কৃষক দল ও ছাত্র দল।
তবে এই তালিকা থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন জেলা মৎসজীবি দলের নেতৃবৃন্দরা। চলতি বছরের ১৩ই মে ৩১ সদস্য মৎসজীবি দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আর এই কমিটির আহবায়ক করা হয় এ্যাড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামকে।
প্রায় ৬ মাস বয়সের এই কমিটিতে থাকা নেতৃবৃন্দরা নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সাথে।
এ বিষয় জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক এ্যাড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান দ্যা বাংলা এক্সপ্রেসকে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আমাদের যে দায়িত্ব প্রদান করেছেন সেটা সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। বাকিটা বিচার করবে নেতৃবৃন্দরা আর সেই সাথে গণমাধ্যম কর্মীরাতো আছেই।
আমরা ইতিমধ্যে ফতুল্লা থানা, কুতুবপুর ইউনিয়ন, বক্তাবলী ইউনিয়ন, বন্দর উপজেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছি।
এছাড়াও এনায়েত নগর ইউনিয়ন, সোনারগাঁ পৌরসভা ও সোনারগাঁ উপজেলা, রুপগঞ্জ পৌরসভা ও রুপগঞ্জ উপজেলা, আড়াইহাজার পৌরসভা ও উপজেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক কমিটি প্রস্তাবিত রয়েছে। যেটা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই অনুমোদন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর বড় করে ইফতার পার্টি করেছি যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। এছাড়াও দলীয় কর্মসূচি গুলো আমরা সফল ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশিত তদারকি দল আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিষয় খোজ খবর নিয়েছেন। তাদের সাথে আলোচনা সভা করা করেছি।
এছাড়াও আমাদের ইচ্ছা আছে, আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে মৎসজীবি দলের সম্মেলন করবো। সেখানে বিএনপির সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের আমন্ত্রন করা হবে। সেই জন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।
এদিকে, জেলা মৎসজীবি দলের মত বিএনপি ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারলে সেটা দল ও সংগঠনের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখতো বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।