দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলার সকল দপ্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সম্মলিত প্রচেষ্ঠায় করোনাভাইরাস সংক্রামন মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ তাৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন আরো বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর তাৎপরতা আরো জোরদার করা হয়েছে। কোথাও কোন অনিয়ম হলেই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাও সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। কোথায় কি হয় আমাদের জানাবেন আমাদের লোক ঘটনান্থলে হাজির হয়ে কাজ করবে।
এসময় সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক এসপি ও সিভিল সার্জনের নিকট বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনকে তাদের গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করার জন্য আহবান জানান।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ইতি মধ্যেই আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে মোট ৭৫ মেট্রিক টন চাউল ও ৯ লক্ষ টাকা জেলার সকল উপজেলায় বিতরন করা হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটিকর্পোরেশনের আওতাধীন ওয়ার্ড গুলোতে মোট ৯.২২ মেট্টিক টন চাউল ও ১ লক্ষ ১০ হাজার ৭শ টাকা উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয় ধাপে দুই লাখ একশত মেট্রিক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে আমাদের মাঝে পাঁচ লাখ টাকা ও দুইশত মেট্রিক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে যা অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে বন্টন করা হবে।
ভিক্ষুক, দিনমজুর, রিক্সাচালক, ভ্যানগাড়ী চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা প্রদান করতে হবে। কোন মানুষ যেন বাদ না পরে সেই দিকে খেয়াল রাখা সহ যারা বিত্তবান, সামাজিক বা রাজনৈতিক সংগঠন ও এনজিও সংস্থা কোন খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা-৩ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ জন, আইসোলেশনে আছে ১ জন, তবে নতুন কোন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হোমকোয়ারেন্টাইনে ৪১২ জন ছিলো, তার মধ্যে আজকেই ১৮ জন নতুন যুক্ত হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়প্রাপ্ত ২৩০, এরমধ্যে আজকে ৫১ জন। ১লা মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৬০০৩ জন, তাদের মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ৯৫৯ জন।
সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৬টি। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নারায়ণগঞ্জে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩০টি বেড। এর মধ্যে কাজ করবেন ৯০ জন ডাক্তার ও ১৭৩ জন নার্স। রোগি আনার জন্য ৬টি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর বেসরকারী ৭২টি কেন্দ্র ৭২টি বেড, ১০০জন ডাক্তার ও ১৮০ জন নার্স, পিপিই মজুদ ১৪০২, বিতরণ করা হয়েছে ৫৪৮টি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা: ইমতিয়াজ, র্যার- ১১ মোস্তাফিজুর রহমান, সেনাবাহিনীর সিও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা প্রমূখ।