দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের দেয়া লকডাউন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মুলত আইইডিসিআর কর্তৃক ৫রা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর পরই প্রতিটি পাড়া-মহল্লার যুবসমাজ নড়েচড়ে বসে।
এরই প্রেক্ষিতে বন্দরের অধিকাংশ এলাকায় জনসমাগম এড়াতে স্বেচ্ছাসেবীরা রাস্তায় গাছের গুড়ি ও বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। তবে এব্যাপারটি স্থানীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে। কেউ কেউ বলছেন রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে অনেক স্বেচ্ছাসেবীরা জনগণের সাথে সহনশীল আচরন করছে না।
এতে করে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা ও বহন বিঘ্নিত হচ্ছে৷ ব্যারিকেডের কারনে হালকা ব্যাটারি চলিত রিক্সা বা অটোর সংখ্যা কম থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে অসুস্থরা।
এব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমান সংকট প্রশাসনের একার পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব নয়৷ কারণ আমারা বন্দরে একটা জায়গায় টহল দিলে আরেকটি জায়গায় লোকসমাগম বেড়ে যায়। বন্দরে ৬টি টহল টিম কাজ করছে। তারা তিনি একই সময়ে ৬ জায়গায় যেতে পারবে কিন্তু ১৬ জায়গায় যেতে পারবে না।
অতএব এধরণের সমস্যা সমাধানে স্থানীদেরই এগিয়ে আসতে হবে৷ তাই আমি মনে করি তারা স্থানীয় পর্যায়ে লক ডাউনের যে পদক্ষেপ নিয়ে তা যেন সবাই ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করে।এবং স্বেচ্ছাসেবীদেরও বলব তারা যেন অসুস্থ রোগী এবং ঔষধ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে রাস্তা খুলে দেয়। এবং তাদের সাথে যেন সহনশীল আচরণ করে।
জনগনকেও স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে অনুপ্রেরণা দিতে হবে ও তাদেরকে সম্মান দিয়ে সহোযোগিতা করতে হবে৷
বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থাহীনতায় জনগন এধরনের পদক্ষেপে উৎসাহিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, দেখুন,এই মুহুর্তে যে পরিস্থিতি তার সামাল দিতে আমাদের এই স্বল্প সংখ্যক সদস্য দিয়ে সম্ভব নয়৷
তবে আমরা মানুষকে ঘরে ফেরাতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি৷ইউএনও’র কথায় সামঞ্জস্য রেখে তিনি বলেন স্বেচ্ছাসেবীরা যা করছে সকলকেই এটাকে পজিটিভ হিসেবে নেয়া উচিত। এই মুহুর্তে তারা যা করছে আপনার আমার কল্যানেই করছে। তবে এটা যেন তা অপব্যাবহার না করে।কোন এলাকায় এনিয়ে কোন বাড়াবাড়ি দেখলে জনগন যেন সরাসরি আমাদেরকে জানায়।
সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, এরকম মহামারি সামাল দিতে সাংবাদিকরা দেশের বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে। তাদের লেখনীর মাধ্যমে জনগন সবচেয়ে বেশি সচেতন হয়েছে।
তাই আসুন এই সময়ে আমরা সকলেই দূরে থেকে এক হয়ে কাজ করি। এবং মহামারি করোনা নামক অভিশাপকে দেশ থেকে চিরবিদায় জানাই।