দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ নেতা মজিবুর রহমান প্রধানের স্ত্রী ও মেয়েও করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছেন।
শনিবার (১১ এপ্রিল) তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে সোমবার ১৩ এপ্রিল আইইডিসিআর থেকে তাদের পজিটিভ নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্তরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি সিবদার বাড়ি পুল এলাকার বাসিন্দা ও আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মৃত মজিবুর রহমান প্রধানের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৮) এবং তাদের মেয়ে লাভলী আক্তার (৩০)। তারা বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে মজিবুর রহমান প্রধান জ্বর কাশি ও গলা ব্যথা নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ এপ্রিল (বুধবার) মারা যান। এরপর তার স্ত্রী ও মেয়েরও জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা দেখা দিলে ১১ এপ্রিল তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ১৩ এপ্রিল রিপোর্ট আসলে তাদের পজিটিভ নিশ্চিত হওয়া যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মজিবুর রহমানের বাড়িতে ৩০ পরিবার ভাড়ায় বসবাস করে। বর্তমানে সকলকেই লকডাউনে রাখা হয়েছে। তারা বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের দুজনেরই করোনা পজিটিভ আসছে। আমরা বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছি। সেই সাথে তাদেরকে জানানো হয়েছে কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাতে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তারা বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রসঙ্গত, মজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত, এমন সন্দেহ পোষণ করেছিলেন তারই ছেলে জালকুড়ি ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসাইন। তিনি দাবি করেছেন নিজেসহ তার পরিবারের ৭জন অসুস্থ। ধারণা করছেন তারা করোনা আক্রান্ত। বাবার মৃত্যুর পর রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে।
তার দাবি চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। অসুস্থতা নিয়েই অবরূদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। হটলাইনে যোগাযোগ করেও কোনো রকম সাহায্য পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। ফলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন এই তরুণ। একই সাথে তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, যদি কেউ সাহায্য না-ই করতে পারেন, তাহলে যেন মৃত্যুর পর তাদেরকে নিজেদের কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়
তার দাবি চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। অসুস্থতা নিয়েই অবরূদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। হটলাইনে যোগাযোগ করেও কোনো রকম সাহায্য পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। ফলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন এই তরুণ। একই সাথে তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, যদি কেউ সাহায্য না-ই করতে পারেন, তাহলে যেন মৃত্যুর পর তাদেরকে নিজেদের কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়