দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জে প্রতি নিয়তই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সেই সাথে মৃত্যুর ঝুকিও। তবুও যেন নিজেদের সর্তকতায় আবদ্ধ করতে নারাজ এই জেলায় বসবাস করা মানুষ গুলো।
প্রতি দিনই কোন না কোন ইস্যু নিয়ে শত শত মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ছে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য। কেউ বা খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে আবার কেউ বা বেতনের দাবিতে। তবে এসব দেখেও যেন টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এদিকে, সারা দেশে ২৪ ঘন্টায় ৩১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ ভাগ রোগী ঢাকা (৬৬ শতাংশ) ও নারায়ণগঞ্জের (৩১ শতাংশ) বাসিন্দা। আর মাত্র ২৫% সারা দেশের বিভিন্ন জেলার।
সেই সাথে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন মৃত্যু বরণ করেছে। যাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও দুজন নারী। এরা সবাই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
আর ২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ৭৪৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ২ হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫২ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৩৯ জন। আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশন মুক্ত হয়েছেন ৫৩৭ জন।
হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে আরও তিন হাজার ৬৪১ জনকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১৭৪ জনকে। সবমিলিয়ে তিন হাজার ৮১৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। এই সময়ে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পান চার হাজার ২৬ জন।
মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১ জনে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩১২ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৪৫৬ জনে।