দ্যা বাংলা্ এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দোকান প্রতিষ্ঠান দেড়দিন বন্ধ রাখতে সাপ্তাহিক ছুটির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমজীবী কর্মচারীরা।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় শহরের ভাষা সৈনিক সড়কের বালুর মাঠ এলাকা থেকে এ কর্মসূচী পালনে একটি মিছিল বের করেছে দোকান ও প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়ন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে সমাপ্তি করে।
এছাড়াও এরআগে ছুটি সহ শ্রমআইন বাস্তবায়নে ১৩ দফা দাবিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বরাবর স্বারলিপিও দিয়েছেন। যার অনুলিপি স্থানীয় সাংসদ, পুলিশ সুপার, র্যাব, শ্রম অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে। এসময় সভাপতি মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক তুলশী ঘোষের স্বাক্ষরিত ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিতে উল্লেখ রয়েছে, ১। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৫ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। ২। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ৬ মোতাবেক প্রত্যেক মালিক তাহার নিজস্ব খরচে নিয়োজিত শ্রমিকের জন্য সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ৯ মোতাবেক সকল শ্রমিকদের জন্য একটি রেজিষ্টার রাখতে হবে। ৪। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ৫৮ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা করতে হবে। ৫। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ১০০ মোতাবেক দৈনিক ০৮(আট) ঘন্টা কাজের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। অধিক কাজের জন্য বর্ণিত আইনের ১০৮ ধারা মোতাবেক দ্বিগুন হারে ভাতা দিতে হবে।
৬। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ১১৪ মোতাবেক প্রত্যেক দোকান প্রতিষ্ঠান প্রতি সপ্তাহে অন্তত দেড়দিন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপণ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ৭। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ১১৫ মোতাবেক অসুস্থ্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রতি পঞ্জিকা বর্ষপূর্ণ মজুরীতে ১০ (দশ) দিনের নৈমিত্তিক ছুটি দিতে হবে। ৮। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ১১৬ মোতাবেক অসুস্থ্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রতি পঞ্জিকা বর্ষে পর্ণ।
মজুরীতে ১৪ (চৌদ্দ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি দিতে হবে। ৯। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১১৭ মোতাবেক চাকরীর মেয়াদকাল ০১ (এক) বৎসর পূর্ণ হওয়া পর বর্ণিত আইন মোতাবেক বাৎ্সরিক ছুটি দিতে হবে। ১০। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ১১৮ মোতাবেক প্রত্যেক শ্রমিককে ঐ ১১৮ মোতাবেক প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বর্ষের ১১ (এগার) দিনের মজুরীসহ উৎসব ছুটি প্রদান ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করতে হবে। ১১। বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন বৃদ্ধি। ১২। শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের জন্য খেলাধুলা ও সাগতিক প্রতিযোগিতার আলো ১৩। দূর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলটিতে ওই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি মোক্তার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়া, কোষাদক্ষ আমির হোসেন খোকা, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে পিন্টু, প্রচার সম্পাদক সাকিব প্রধান সৌরভ, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদস্য রাশেদুর করিম, আফসার মামুন সহ অন্যান্য মার্কেট কমিটি’র নেতৃবৃন্দরা।