দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির খেলা। ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগ মাঠে আছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে রক্ষার জন্য। অপরদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ধারাবাহিকতা নিয়ে মাঠে আছে বিএনপি। এনিয়ে দুই দলের পাল্টা পাল্টি চ্যালেঞ্জ আর বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মাঠ গরম হয়ে উঠলেও জনভোগান্তি কমার বালাই নেই।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতা বলছেন পাকিস্তানী পরাশক্তির পেত্তারা এখন বাংলাদেশে রয়ে গেছে যাদেরকে এই দেশ থেকে বিতারিত করতে হবে। অন্যদিকে দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি, দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার ও দেশের টাকা পাচারের অভিযোগ করে। সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকার আহবান জানান বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান জনসমাবেশে বলেছেন, ওরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। ওরা এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারছে না।
আগে অনেকদিন পর পর একজন মীরজাফর আসতো। এখন ক্ষণে ক্ষণে মীরজাফর আর খন্দকার মোশতাকেরা জন্ম নেয়। এখন সরকার না বরং দেশকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি খেলতায় আমি বলি খেলতে হলে আসেন ডেট দেন আমরা খেলবো।
তবে বিএনপি নেতারা দাবি করে বলছেন, সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করে দেশকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। তারা মিডিয়ার সামনে এসে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে, অথচ মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সহ জ¦ালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য, অসহনীয় লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করে দেশের মানুষকে চুষে খাচ্ছে।
সরকার উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করছে যা জনগনের সামনে প্রমানিত। দেশের সাধারণ মানুষ এখন পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা ঠিক মত খাবার জোগার করতে পারছে না। তাদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই প্রশাসনকে ব্যবহার করে। এই অবৈধ সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানকে ভয় পায়।
শেখ হাসিনা জুলুমবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের নেত্রী। আর বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না, বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে পালাবার পথ পাবেন না। এদেশে ৭১ এর মত আবারো যুদ্ধ প্রয়োজন। এই যুদ্ধহবে দুর্নীতিবাজ, ভোটাধিকার হরন, মানুষের মৌলিক অধিকার হরন কারীদের বিরুদ্ধে। এবারো তাদের বোরখা পরে পালাতে হবে।
তারা আরও বলেন, আপনি ডেট চেয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনার সাথে আমাদের খেলা হবে। যে খেলার রেফারি হবে নারায়ণগঞ্জের জনগণ। যদি ফাউল করেন জনগণ আপনাকে লাল কার্ড দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিবে।
তবে আগামী জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান অবস্থা উত্তাল। এখন দেখার বিষয় জনস্বার্থে দুই দলের আন্দোলন কতটা সফলতা আসে।