নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে পৃথক দুটি ঘটনায় অজ্ঞাত দু’জন গণপিটুনির শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবক (২৫) নিহত ও রেশমা নামের এক নারী গুরুত্বর আহত হয়েছে। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার মিজমিজি আল আমিন নগর ও পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় এ ঘটনা দুটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
অপরদিকে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় রেশমা নামে ওই নারীকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে প্রায় আধা ঘন্টা জনতা-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল ৮টার দিকে মিজমিজি আল আমিন নগর এলাকার রাজমিস্ত্রি সোহেলের মেয়ে সাদিয়া (৭) স্কুলে যাওয়ার পথে নিহত যুবক তার হাতে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞেস করলে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বললে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
এক
পর্যায়ে তাকে
গণপিটুনি দিলে
সে মাটিতে লুটিয়ে
পরে। খবর পেয়ে
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে
তাকে উদ্ধার করে
নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালে
পাঠালে কর্তব্যরত ডাক্তার
তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।
অপরদিকে সকাল
সাড়ে ৯টার দিকে
পাইনাদী নতুন
মহল্লার শাপলা
চত্ত্বর এলাকায়
ইটালী প্রবাসী বিল্লালের
বাড়ীর চার তলায়
খাদিজার ফ্ল্যাটে
রেশমা নামে এক
নারী প্রবেশ করে
তার নাতী নাদিমকে
(৩) পুতুল দেয়।
এতে পরিবারের লোকজনের
সন্দেহ হলে বাড়ীওয়ালাকে
খবর দেয়। এ
ঘটনায় ওই বাড়ীর
সামনে লোকজন
জড়ো হয়ে
পরে। এক পর্যায়ে
উত্তেজিত জনতা
তাকে ছিনিয়ে নিয়ে
গিয়ে গণপিটুনি দিয়ে
পিএম এর মোড়ে
আল বালাগ স্কুলে
আটকে রাখে। পরে
ওই নারীকে উদ্ধার
করে চিকিৎসার জন্য
নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালে
পাঠায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মীর শাহীন
শাহ পারভেজ জানান,
নিহতের লাশ উদ্ধার
করে মর্গে এবং
আহত নারীকে খানপুর
হাসপাতালে পাঠানো
হয়েছে। নিহত ও
আহতের বিস্তারিত পরিচয়
সনাক্তের চেষ্টা
চলছে।