দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ রূপগঞ্জের সেজান জুস (হাসেম ফুডে) অগ্নীকান্ডে ৫২ শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক সহ-দায়ী দোষিদের গ্রেফতার ও বিচার,নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে ১ জীবন সমপরিমান ৪০ লাক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গামেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।
শনিবার (১০ জুলাই)বেলা ১২টায় নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এ মানববন্ধনটি।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গামেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জীবন সাহা, বাংলাদেশ আউটসোসিং কর্মচারি কল্যান পরিষদের সভাপতি মো.ইকবাল হোসেন বাবু আরো অনেকেই।
এসময় মানববন্ধনে এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন,একটা কোম্পানি খুলতে হলে সেখানে ফায়ার সার্ভিস,মেডিকেল এবং সরকার থেকে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জিন্য সার্টিফিকেট লাগে।কিন্তু আমরা দেখলাম ওই সেজান কোম্পানির এর কিছুই নাই।শ্রমিকর বাঁচার জন্য কত কাকুতি করে ছিলো।আমরা জানি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ৭ সদস্য বিশিষ্ট।
জানিনা ওই তদন্ত কমিটিতে ফল কি হবে?কারন ইতিপূর্বে তদন্ত কমিটিতে প্রমাণ করে সঠিক তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদান করা হয় না। পূর্বের ঘটনার গুলোর বিচার হয় না বিধায় আজকে এ অপরাধ পুন:সংগঠিত হচ্ছে।তাই আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করবো এবং তদন্ত কমিটির যে রিপোর্ট পাবো তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে দিবো।
তিনি আরো বলেন,অগ্নিকান্ডে নিহত পরিবারকে ১ জীবন সমপরিমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।একজন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মরলে শুধু ২ লাখ টাকা হয় না।কারন একজন শ্রমিকের জন্য তার পরিবারে ভালোবাসা, স্নেহ থাকে এবং তার পরিবার একজন সদস্য হারায়।তাই আমরা আন্তর্জাতিক মানের ক্ষতিপূরণ চেয়েছি।
মাহবুবুর রহমান ইসমাইল আরো বলেন, নারায়নগঞ্জে কোন কোন ফ্যাক্টরিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে এগুলোর তালিকা ফায়াফ ব্রিগেডিয়ারকে প্রকাশ করতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।মিডিয়ার সামনে বলতে চাই নারায়ণগঞ্জ যে কয়টা ফ্যাক্টরি আছে প্রত্যেকটা ফ্যাক্টরিই ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রত্যাকটা ফ্যাক্টরি তালিকা করতে হবে।
যে ফ্যাক্টরি গুলোতে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নাই সেগুলোর ব্যবস্থা নিতে হবে।কারন মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রধান ও বড় মৌলিক অধিকার হলো মানুষের জীবনের।যারা এই অগ্নীকান্ডের ঘটনায় দোষি তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং নিহত প্রত্যেককে ৪০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহদের সুচিকিৎসা দিতে হবে।