দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যাত্রীবাহী বাসে এক তরুনীকে (১৮) গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত ১১ টায় বন্দরের মদনপুর এলাকার জাহিন গার্মেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠাব মশিরা এলাকার হাছেন আলীর ছেলে নুরুল হক (২১), বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার আল আমিনের ছেলে (১৬) এবং ঢাকা খিলগাঁও মীরের টেক এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে (১৪)।
অভিযোগে ভুক্তভোগী জানায়, রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে গাউছিয়া যাবার জন্য মুক্তিযোদ্ধা পরিবহণের একটি বাসে উঠি। বাসটি চিটাগাং রোড আসার পর যাত্রীশূন্য হয়ে যায়। তখন আমাকে একা পেয়ে আসামীরা উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে আমাকে আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বাস থেকে নেমে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আসামীদের আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন বলেন, তরুনীর অভিযোগ পেয়ে আজ সকালেই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারী জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে অভিযোগ জানালে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ আসামীকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাসচালক ছিলেন কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের নূরুল হক (২১)। গ্রেফতার বাকি দুজন ছিলেন চালকের সহযোগী। তাদের উভয়ের বয়স অনুর্ধ্ব ১৮।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ভুক্তভোগী তরুণীর বরাতে তিনি জানান, সায়েদাবাদ-গাউছিয়া রুটে চলাচল করা মুক্তিযোদ্ধা পরিবহনে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। রাত ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ি থেকে রূপগঞ্জের গাউছিয়া যাবার উদ্দেশ্যে বাসটিতে ওঠেন তিনি। বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোডে আসতেই সকল যাত্রী নেমে যায়। পরে ফাঁকা বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বাসচালক ও তার দুই সহযোগী। ঘটনার পর তরুণীকে বন্দরের মদনপুর এলাকায় নামিয়ে দেয়া হয়। পরে নির্যাতনের শিকার তরুণী ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ করেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাতেই মদনপুর এলাকার একটি গাড়ি মেরামতের দোকান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।