দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করায় রোকসানা আক্তার নামের ৩৮ বছর বয়সী এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব -১১।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত পৌনে ১০ টায় মুন্সীগঞ্জ গজারিয়ার ভবেরচর এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের হিনানপুর দেওয়ান বাড়ি গ্রামের মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪৫) ও তার ভাই সন্দেহভাজন আসামী মো. আমির হোসেন (৪০)।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব -১১ জানায় , ভুক্তভোগী রোকসানা বেগম এর স্বামীর সাথে তার বিগত ৭/৮ বছর পূর্বে নিয়ম মোতাবেক বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে ভিকটিম তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছোট ভাই মো . এনামুল হক (২৫) এর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল।
সে জীবিকার জন্য উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী গ্রামের দেওয়ান বাড়িতে জামদানী শাড়ী তৈরির কাজ করতেন। সেই সুবাদে উক্ত বাড়ীর মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৪৫) এর সঙ্গে রোকসানা বেগম (৩২) এর দীর্ঘদিনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে । এক পর্যায়ে ভিকটিম বিয়ের ব্যাপারে মনির হোসেনকে চাপ দিলে আসামী মনির তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়।
আরো জানায়, গত ১৫ জুলাই আসামী মনিরের মেয়ের বিয়ে হলে , নিহত রোকসানা ১৮ জুলাই বিয়ের দাবিতে মনিরের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এসময় মনিরের বাড়ির লোকজন তাকে একাধিকবার বাড়ির বাইরে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়। ভিকটিম তার অবস্থানে অনড় থাকায় মনির হোসেন, তার ভাই গোলজার, খোকন ওরফে খোকা, ছেলে রানা ও মনিরের স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে লোহার পাইপ, লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে মারাক্তকভাবে রক্তাক্ত করে আহত করে।
মুমূর্ষ অবস্থায় ভিকটিমকে মনির হোসেন তার সহযোগীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকসানাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত্যুর সংবাদ জানার পর মনির ও তার সহযোগীরা লাশ রেখেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব -১১ অধিনায়ক লে . কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। র্যাব -১১ কর্তৃক উক্ত হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।