দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে সোনারগা উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকায় ঘনবশতিপূর্ণ এলাকায় একটি শিল্প কারখানা বিষক্ত, বর্জ্য ও ক্যামিকেলে গন্ধে ঐ এলাকার কয়েকশত মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর গতকাল বিকেলে ওই কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।
এলাকাবাসির দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকায় ঘনবশতিপূর্ণ এলাকায় কয়েকশত পরিবার বসবাস করে আসছে। ওই এলাকার সিগমা ওয়েল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শিল্পকারখানার বিষক্ত বর্জ্য ও ক্যামিকেলের গন্ধে আমরা এক প্রকার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। ওই কারখানার ব্যবস্থাপক সঞ্জিৎ মন্ডলও তার সহযোগিরা ক্ষমতার অবব্যবহার করে ঘনবশতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা পরিচালনাকরছেন। আমরা প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা ও হামলা সহ আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভিতি দেখানো হয়। তাই কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।
অভিযোগকারী ইমরান হোসেন জানান, শিল্পকারখানা নির্মাণ করতে হলে যে ধরনের নীতিমালা মালিক পক্ষকে মানতে হয় তার কোনটাই মানছেন না সিগমা ওয়েলমিলের মালিক। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমাদেরকে জিম্মি করে জোড় পূর্বক কারখানাটি পরিচালনা করছেন। আমরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিনা।
তিনি বলেন, একটি ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় পরিবেশে ছাড় পত্র ছাড়া কিভাবে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। তাদের শক্তিশালী জেনারেটরের শব্দে আমরা ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা। তাই অভিলম্ভে এই কারখানাটি অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
আমি এলাকাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ারপর প্রশাসন থেকে সরেজমিনে এসে অভিযোগের সত্যতা পায়। কারখানার মালিককে কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সহ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয় জানতে চাইলে সিগমা ওয়েলমিলের ব্যবস্থাপক রঞ্জিৎ মন্ডলকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি কোণ ভাবেই লাইসেন্স নবায়ন করতে দেওয়া হবেনা। তিনি বলেন এলাকাবাসীর বসবাসের সমস্যা হলেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়ারপর গণবশতিপূর্ণ এলাকা থেকে কারখানাটি অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সকল কাগজপত্র সঠিক ভাবে নবায়ন করে কারখানাটি পরিচালনা করার নিদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুর হাবিজ বলেন, এ বিষয় এলাকাবীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।