বন্দর প্রতিনিধি:
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নরায়ণগঞ্জ বন্দরে ব্যাপক-অনিয়ম-দূর্নীতি ও নিন্মমানের মালামাল দিয়ে শুরু হয়েছে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের একাধিক শাখা সড়কের কাগজ। নিন্মমানের মালামাল দিয়ে রাস্তার কাজ করায় রাস্তার কাজ শেষ না হতেই আবার ভেঙ্গে পরেছে বলে সাধারন মানুষ অভিযোগ।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এ সড়কের নির্মাণ কাজটি নিয়োজিত ঠিকাদার মনগড়া ভাবে শুরু করেছেন। যা পুকুর চুরি’কে হার মানায়।
বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর) সরেজমিন উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপধি ৬১৫ মিটার রাস্তা ও রুস্তুমপুর ৪৫৫ মিটার রাস্তার এমন বেহাল দশা দেখা যায়। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপধি হতে হাঠহাজারি চানপুর ৬১৫ মিটার রাস্তা ও রুস্তুমপুর হতে কলান্দী মসজিদ সংলগ্ন ৪৫৫ মিটার রাস্তার নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয় প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।
এটির নির্মাণকাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এহসান এন্টারপ্রাইজ। রাস্তাটি এহসান এন্টারপ্রাইজের নামে কাজটি করেন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এর নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
নরপধি এলাকার জামাল উদ্দিন বলেন, রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে এখনি রাস্তার একাধিক স্থানে ভেঙ্গে পড়েছে, ভেঙ্গে পরবে না কেন রাস্তা নির্মাণ কাজে যা ব্যবহার করছে তা খুবই নিম্নমানের ফলে কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে।
রুস্তুমপুর এলাকার সজিব, রাসেলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার গাইড ওয়াল নির্মাণেই অনিয়ম করা হয়েছে। পুরাতন ইট দিয়ে নির্র্মাণ করা হয়েছে এ গাইড ওয়াল যা এখনি বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা যাচ্ছে।
এব্যপারে বন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মীর কায়ছার রিজভী বলেন, এ কাজে পুরাতন বা দুই নাম্বার ইট ব্যবহার করার কথা না তারা যোদি করে থাকে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লিখিত দেবো। কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি এখনি যোদি ভেঙ্গে যায় তাহলে আমরা তা গ্রহন করবো না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননা।