বন্দর প্রতিনিধি:
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাংচুর মামলায় সাবেক বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামী করে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলো, নূর মুহাম্মদ পনেছ, সজিব হোসেন, নাজমুল হক রানা, আজিজুল হক রাজীব, হুমায়ুন কবির বুলবুল, দিপু, কাজী আনিছ, হান্নান, ইকবাল, বাবু খান, টুটুল, জীপু, আফজাল, রানা, রিয়াদ, সেলিম, শুভ, ফয়সাল আহম্মেদ রবিন, সৈকত, তন্ময়, রাশেল, হাবিবুর রহমান দুলাল, জান্নাতুল ফেরদাউসকে আসামী করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) ছাত্রলীগ নেতা মো. সোহেল মিয়া বাদি হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২৬(১১)২২। মামলায় আওয়ামীলীগ অফিস ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি সোহেলকে মারধর, মোবাইল লুট ও ৫০ হাজার টাকা লুটের নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামী নূর মুহাম্মদ পনেছ, ৪নং আসামী সজিব হোসেন, ৫নং আসামী আজিজুল হক রাজিব ও ৬নং আসামী হুমায়ূন কবির বুলবুল গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মামলা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এই বিষয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমাদের কি সাহস আছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করবো? এটা কেউ বিশ্বাস করবে? ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ দেয়। আমাদের নামে মামলা দেয়ার জন্যেই এই কাজ করে। সারাদেশেই ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও করে বিএনপির নামে দোষ দেয়া হচ্ছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা আসামী করা হয়েছে আমাদের।