দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ২৮৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা এই মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’ মামলার আসামিরা হলেন- মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম পান্না, জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি পারভেজ মল্লিক, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হেদায়েত উল্লাহ খোকন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লিখন খান, লিংরাজ খান, আতা-ই-রাব্বি, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দোলন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইফতেখার আহমেদ রাজু, ফয়সাল আহম্মেদ শান্ত, সাবেক সদস্যসচিব রাকিব আহম্মেদ রিয়াদ, কাশীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফাহাদুর রহমান ফাহাদ,
সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইসহাক ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির জিলানী, সাবেক ছাত্রদল নেতা মনিরুজ্জামান মুন্না, রিসিকেশ মন্ডল, মাহবুব আলম, শাহাদত, ছাত্রদল নেতা আবু বখতিয়ার সোহাগ, আহম্মেদ, মো. ওলি ওরফে খোকন, মুসলিম, ইসলাম, তানভীর, সেলিম ওরফে আঙ্গুল কাটা সেলিম, সোয়াদ, আরহাম, নিহান, মজিবর, শহিদুল মল্লিক ও জয়নাল মল্লিক।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করেছে, ‘গত ২০ নভেম্বর চারটি হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে আদালতে আনা হলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আদালতের সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অবস্থান নেয়। প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মী জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, যানবাহন, রাষ্ট্রয়ত্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংঘটনের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকের হাতে লোহার রড, ককটেল, লাঠি-সোটা ইটপাটকেল নিয়ে সড়কে টায়ার পুড়িয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গাড়ির টায়ারে আগুন দিয়ে ও চারটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে এবং চলন্ত গাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ীর গ্লাস ভাঙচুর ও গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করে বলেও মামলায় অভিযোগ করেন এসআই শাহাদাত হোসেন।
মামলায় তিনি বলেন, পুলিশ তাদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, বিশটি বাঁশের লাঠি, দশটি লোহার রড, একটি আগুনে পোড়া টায়ার, কয়েক টুকরা ভাঙা গ্লাস জব্দ করা হয়।