দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নাশকতা অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপির ২৮৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় টিটু-রোজেল-পাভেলের নাম থাকলেও মামলায় নাম আসেনি রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর। আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত থাকায় বরাবর পুলিশের মামলা থেকে রেহায় পায় রিয়াদ চৌধুরী মনে করছেন অনেকেই।
গত ২০ নভেম্বর ব্যবসায়ী সাব্বির হত্যা মামলার আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের হাজিরার দিন আদালত থেকে কারাগারে নেবার পথে জাকির খানের সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণে বিএনপি ২৮৪ জনকে আসামী করে পুলিশ মামলা করে ফতুল্লা মডেল থানায়।
সেদিনই রাতে ফতুল্লা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) সাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে নাশকতা অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির খান, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, সদর থানা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক লিংরাজ খান, ছাত্র দল নেতা আতা ই রাব্বি, শাহাদাত, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান দোলন সহ মনিরুজ্জামান মুন্না, রিশিকেষ মন্ডল,মাহাবুব আলম, আবু বখতিয়ার সোহাগ, আহম্মেদ, ওলি ওরফে খোকন, মুসলিম, ইসলাম, হেদায়েত উল্লাহ খোকন,তানভীর, সেলিম ওরফে আঙ্গুল কাটা সেলিম, সোয়াদ, আরহাম, নিহান, মজিবর, শহিদুল মল্লিক, জয়নাল মল্লিক, ইফতেখার আহম্মেদ রাজু,ফয়সাল আহম্মেদ শান্ত, রাকিব আহম্মেদ রিয়াদ,ফাহাদ,শাহাদাত হোসেন, মোঃ ইসহাক, আব্দুল কাদের জ্বিলানী এবং অজ্ঞাতনামা করে মোট ২৮৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড.তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় ২০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে আদালতে হাজিরা দিতে উঠানো হয় মামলার আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে। হাজিরা দিয়ে ঢাকা কারাগারে ফেরার পথে জাকির খানের সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ করে। এই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৮৪ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে জাকির খানের এক সময় কাছের লোক হলেও মামলায় নাম আসেনি রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। শুধু এই মামলাতেই না। পুলিশের বিএনপির বিরুদ্ধে মামলায় জেলা,মহানগর ও থানা নেতাকর্মীদের নাম আসলেও কোন মামলাতে নাম আসে না রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর। এর কারন হিসেবে অনেকেই দেখছেন আওয়ামী লীগের সাথে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী সখ্যতা খুব। তার সাথে তাল মিলিয়ে চলে। ফতুল্লার অধিকাংশ মানুষ রিয়াদ চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের লোকও বলে মনে করেন। কারন বিএনপির নেতাকর্মীদের থেকে বেশি উঠাবসা রিয়াদ চৌধুরীর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। ব্যবসা থেকে শুরু করে বিচার, শালিস এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা যায় রিয়াদ চৌধুরীর। এই কারনে বারবার মামলা থেকে রেহায় পেয়ে যায় রিয়াদ চৌধুরী বলে মনে করছে অনেকেই।
মামলায় রোজেলের নাম আসলেও রিয়াদ চৌধুরী নাম না আসার কারন জানতে ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আসলে বাস্তব পরিস্থিতি এটাই। আমি। আমি যদি বলি আমি রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সন্তান কিন্তু উনি যদি আমাকে স্বীকার না করে তাহলে কি আমি উনার হবো বা মানুষ মানবে। আমাদের রাজনীতিটাও হয়ে গেছে এমন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করছে জনগনের অধিকারের জন্য। রাজপথে মাঠেঘাটে আমরা সংগ্রাম লড়াই করে চলছি। সেকি বলতে পারবে সে বিএনপি করে রাজপথে আমাদের সাথে লড়াই সংগ্রাম করছে।
তিনি আরো বলেন,যদি কেউ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে বিএনপি করে তাদেরকে কি মিথ্যা মামলায় আসামী করবে। তাদের নাম সরিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক। কারন আওয়ামী লীগ আমাদের ভয় পায় আমরা তারেক জিয়ার সৈনিক। দেশের মানুষের জানমাল ও অধিকার আদায়ের জন্য আমরা আন্দোলন করি রাজপথে।