দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সৌদি আরবে নিয়ে ভাল চাকুরী দেয়ার নামে খারাপ কাজ করানো এবং মেয়েকে দেশে আনতে বলায় নানা টালবাহানা শুরু করেছে আদম বেপারী নুর মোহাম্মদ ওরফে আজাদ। এ বিষয়ে আদম বেপারী পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সোনারগাঁয়ের কাচপুর খালপাড় চেঙ্গাইন গ্রামের মৃত. আসমতের ছেলে মোঃ আবদুল কাদির।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা বেতনে ভাল চাকুরী দেয়ার কথা বলে রুপগঞ্জ থানাধীন তারাবো এলাকার আদম বেপারী নুর মোহাম্মদ ওরফে আজাদ এবং তার ছেলে মো.ইমন আমার মেয়ে তাসলিমাকে সৌদি নিয়ে যায়। এ জন্য আমি বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা দেই। বিবাদীরা উক্ত টাকা গ্রহনের পর প্রায় ৫ মাস পুর্বে আমার মেয়েকে সেখানে পাঠায়।
আমার মেয়ে সেখানে পৌছানোর পর আমাকে জানায় যে সে ওখানে ভাল নেই। এ কথা শুনে আমি বিবাদীদ্বয়কে বলি আমার মেয়েকে দেশে নিয়ে আসার জন্য। সে আজ-কাল আনবে বলে টালবাহানা শুরু করে এবং গত ৫ নভেম্বর আমি বিবাদীদ্বয়ের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ০১৭৯৫৮১১৮২২ এবং ০১৯২১২০০৮৮২ নম্বরে যোগাযেগ করিলে তারা বিভিন্ন আজে-বাজে কথা বলেন এবং আমার মেয়ের বিষয়ে তারা কিছুই করিতে পারিবেনা বলে ভীতি-হুমকী ও টালবাহানা শুরু করে।
গত ৭ নভেম্বর বিবাদীদ্বয়ের বাড়িয়ে উপস্থিত হয়ে আমার মেয়েকে আনিয়া দেয়ার কথা বললে তারা আমারমেয়েকে আনিয়া দিতে পারবেনা এবং এ বিষয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকী প্রদান করেন।
এদিকে ১৫ নভেম্বর তাসলিমাকে দেশে নিয়ে আসে এবং ১৭ নভেম্বর তাকে নির্যাতন শেষে তাকে ফেলে রেখে যায় বলে জানায় তার স্বজনরা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে তাসলিমা বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার স্বজনরা জানান,
সৌদি আরবে তাকে ধর্ষণ করা হইছে। সেইখানের আদালত ওই মহিলার কফিলকে জরিমানা বাবদ ৪০ হাজার রিয়াল এর চেক তাকে দিয়েছিল কিন্তু। দালালের ওইখানকার লোক সেই টাকা তার বাবা মায়ের হাতে দিবে বলে নিয়ে নেয় চেকটি নিয়ে যান এবং কৌশলে তার হাত থেকেই সৌদি রিয়াল ক্যাশ করে নেয় । কিন্তু সেই সৌদিও ৪০ হাজার রিয়েল তাসলিমা কিংবা তার পরিবারের কাউকেই বুঝিয়ে দেয়নি আদম বেপারী নুর মোহাম্মদ ওরফে আজাদ।
বরং উল্টো দেশে আসার পর কৌশলে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট থেকে তাকে কিডন্যাপ করে। আর বাড়ির সবাইকে জানানো হয় সে এখনো আসেনি। মেয়ের বড় বোন জামাইকে ফোন নম্বর ফোনে এ কথাটি বলে অফিসের হারুন, আজাদ ও শুক্কুর নামে তিন দালাল। এরা কয়েকদিন বাংলাদেশের আমাদের অফিসে আটকে রেখেন নির্যাতন করে আর মেইন রোডে ফালাইয়া যায় বিবাদী গংরা।