দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করতে বাধা দেয়ায় ভাতিজা ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে চাচা জায়া হাসানের বিরুদ্ধে। বন্দর থানাধীন কালাগাছিয়া ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও এলাকায় এই ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও, থানা পুলিশের ভূমিকা এখনও রহস্য জনক বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। যদিও ঘটনার দিন বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাতিজা সনি (২৬)। পাশাপাশি পুলিশও ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেন ঠিক একই দিনে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, চাচা জায়া হাসানের ছেলে প্রশাসনে কনেষ্ট্রবল অন্য একজন সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এবিষয় ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগের দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শককে ফোন দিলে তিনি বলেন উপরের চাপে আছি। আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করবো না।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বহুদিন যাবৎ চাচা জয়া হাসান ও তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বক ভাতিজা সনি (২৬) এর পৈত্রিক সম্পত্তির জোরপূর্বক দখল দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এতে বাধা প্রদান করলে ভাতিজা সনি ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করতে আসে। সেই সাথে প্রাণ নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়বীতি প্রদান করে আসছে। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক করা সত্ত্বেও কারো কথাই শোনে না।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ ফেব্রুয়ারী পৈত্রিক সম্পত্তির উপর ভাতিজা সনি বসত ঘর নির্মাণ করতে গেলে বিবাদী, জয়া হোসেন, তার ছেলে রাসেল (২৫), মোসলেউদ্দিনের ছেলে জালুন (৫০), রশিদ মিয়ার মেয়ে রাজিয়া (৫০) ও রেখা (৪০) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ জন বসত ঘর নির্মাণে বাধা প্রদানসহ গালিগালাজ করে।
বাদী গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় বিবাদীরা তার উপর এলাপাথারি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরে নীলাফুলা জখম করে। পরে বাদীকে রক্ষা করতে তার বড় ভাই তপু (৩০), বোনজামাতা স্বপন (৪০), মা মাহমুদা (৬৫) ভাবি লাকি (৩০), রহিমা (৪২), ইতি (২৮) তাকে উদ্ধার করতে আসলে, বিবাদীরা তাদের উপরও এলাপাথারি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরে নীলাফুলা জখম করে।
সেই সাথে তার বোনজামাতার সাথে থাকা ৩৫ হাজার টাকা বিবাদী রাসেল নিয়ে যায়। এসময়ে বাদী পক্ষের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোক এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ তাদের প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক জহিরের কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নিরব থেকে লাইনটি কেটে দেয়। পরবর্তীতে একাদিকবার মুঠোফোনে পুনরায় কলদিলে তিনি ফোনটি রিসিব করে বলেন, আমি ঢাকায় আছি নেটে সমস্যা হচ্ছে। কালকে এলাকায় এসে আপনাকে ফোন দিবো বলে লাইনটি কেটে দেন।