দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নাসিক এর ১২ তম বাজেট ঘোষনা করার সময় মেয়র ড.সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, আমি স¯Íার জনপ্রিয়তা করতে পারবো না। ওই ধার্চ আমার নেই। মেয়র হয়ে কাজ করা অনেক কষ্টের। নারায়ণগঞ্জের ডিসি এসপি আমার কথা শুনে না, হাইকোর্টের আদেশ মানে না ঠিকিই দুইজনের এমপি আছে তাদের কথা মানে। আমাদের কথা নগরবাসীর কথা চিন্তা করে কম। যদি সব সময়ে এমনই হতে থাকে তাহলে তো আমার এমপি গিরি করতে হবে। প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন চাইবো।

আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টায়  নগর ভবন অডিটোরিয়ামে এ বাজেট ঘোষণা করার সময় এ কথা বলেন মেয়র।

নাসিক মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, সময়মত হোল্ডিং কর, পানির বিল পরিশোধ করে নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রমে যদি আপনেরা ভূমিকা না রাখেন তাহলে আমি মেয়র ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনে এমপিগিরি করবো। এখানে আমার আনোয়ার কাকা আছে।উনি বাহিরে গিয়ে বলবে আমি কি বললাম। অনেকেই আমার পিছু লাগবে।এমনেই আমি কোন কথা বললে তা কাটপিচ করে বলে আমি দলের বিরুদ্ধে কথা বলি।

এর আগে নাসিক বাজেট ঘোষনার পর প্রশ্নত্তোর পর্বে নগরীতে যানজট, হোল্ডিং কর,পানি নিষ্কাশন, চাঁদাবাজি, অটো রিকশা ও হকার উচ্ছেদ সহ বিভিন্ন বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংবাদিক,সুধীজন, নাগরিকরা কথা বলেন।

বিভিন্ন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে কে চাঁদাবাজী করে এটা সবাই জানে। এমপির লোকজন শহরে অটো রিকশা ঢুকায়। অটো রিকশায় এমপি মহোদয়ের স্টিকার লাগানো। শহরকে যানজট করে তুলেছে। আর ফুটপাত তো আমরা বানিয়েছি মানুষজন চলাচল করার জন্য। কিন্তু এ ফুটপাত হকারমুক্ত করতে গিয়ে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের রাস্তায়ে ফেলে পিটিয়েছে।আপনাদের সাংবাদিকরাও সেদিন মার খেয়েছিলো আমার সাথে।আমাকে।হাত ধরে প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলো। তাহলে কেন আমি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে যাবো। আমার পাশে তো তখন কেউ দাঁড়ায়নি। আমার তো পিস্তল নাই, কোন বাহিনী নাই। তাদের তো সব আছে। নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপি দুই এমপির কথায় চলে। আমাদের কথা নগরবাসীর কথা চিন্তা করে কম।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন,আপনেরা একটা রাউন্ড টেবিলের আয়োজন করেন যেখানে ডিসি এসপি, মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবে। নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলবে। যে শহরে বললার পর কোন প্রতিকার নাই, সাংবাদিকরা, মেয়র বলার পর কিছু হয় না। নাগরিক বলার পর কিছু হয় না। একমাত্র দুইজন এমপি বলার পর প্রশাসন কাজ করে অথচ অন্য কেউ বললে কাজ করে না। এই সরকারের অধিবেশনে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ আমার বাসায় পরিদর্শনে এসেছিলো আমি তাকে বলেছিলাম হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এখানের অবৈধ্য ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করার জন্য।  মাননীয় এমপি যখন ঘোষনা দিলেন ছয় মাস ট্রাক স্ট্যান্ড ছিলো না। তাহলে হাইকোর্টকে মানার দরকার কি মাননীয় এমপিকে মানি। তাই আপনেরা সাংবাদিকরা দায়িত্ব নেন ডিসি, এসপি, এমপি মহোদয়দের ডাকেন আমরা বসি। আপনেরা যা বলতে বলবেন আমি করবো।

মেয়র আরো বলেন,আমার একটা বড় ভূল হয়েছে।আমি সবাইকে কার্ড পাঠিয়েছি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের এমপি মহোদয়কে আলাদা করে টেলিফোনে বলার দরকার ছিলো। তাহলে আজকে এখানেই অনেক কিছুর সমাধান এখানেই পেয়ে যেতেন। কিন্তু আমি খুবই ব্য¯Í ছিলাম যেকারনে ফোন করতে ভূলে গেছিলাম। সেলিম ভাই আসলে অনেক সমস্যার সমাধান হতো। উনার সাথে কথা বলে দুই একটা সমাধান পেয়েছি যদিও ক্ষনিকের। দুই চার ছয় মাস হলেও একটা সমাধান পাওয়া গেছে।

এসময় বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসিক কাউন্সিলরবৃন্দ,সাংবাদিক, সুধীজন ও নাগরিকবৃন্দ।