দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে স্বৈরাচারী সরকার হাসিনার পতন হলেও তার দলের দোসররা এখনও সক্রিয়। অভিযোগ রয়েছে দেশের শান্তি নষ্ট করে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে মৌলবাদী হিসেবে পরিচিত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে আওয়ামী দোসররা। সেই সাথে পুনরায় পিছনের দরজা দিয়ে আবারও শাসক ঘোষ্টি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া।

তাইতো দেশে ডাকাতি, লুট ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলার ঘটনা সাজিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি ঘোষ্টি।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার তোপের মুখে দেশ ছাড়তে সফল হলেও ভারতে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে নানা অপকর্ম করা নির্দেশ প্রদান করছেন বলে দাবি বিএনপি নেতাদের।

এরই ধারাবাহিকতায় নাসিক ১৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিএনপি।

নাসিক ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের ছত্র ছায়ায় একাধিকবার কাউন্সিলর হওয়া শফিউদ্দিন প্রধান ঐ এলাকার জন্য আতঙ্ক। কারন প্রতিদিনই তার নিজ বাসভবনে ঘরোয়া ভাবে গোপনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সাথে চলছে রুদ্ধদ্বার বৈঠক।

সে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট জন হওয়ার পরও আমরা বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কোন ক্ষতি হতে দেইনি। সেই সাথে পিছনের সব ভুলে গিয়ে সবার সাথে মিলে মিশে থাকার আহবান করেছি।

কারন যারা আওয়ামী লীগ করেছে তারা সবাই এদেশেরই লোক। পরিবার পরিজন রেখে পালিয়ে বেড়ানোর যে কষ্ট আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা গত ১৫ বছর সেটা উপলব্ধি করেছি। তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার পাশাপাশি প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট হওয়ার পরও শফিউদ্দিন প্রধানকে আমরা এলাকায় থাকতে বলেছি। কিন্তু আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে সে তার দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে নাশকতার সৃষ্টি করার পায়তারা করছে।

তারা আরও বলেন, শফিউদ্দিন প্রধান তার পুর্বের ক্ষমতাকে ধরে রাখতেই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় বিভিন্ সময় মহড়া দিচ্ছে। শুধু তাই নয় এলাকার মসজিদ গুলোর কমিটি তার নির্দেশের বাহিরে হতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ সময় হিন্দুদের হুমকী দিচ্ছে।

আমাদের এলাকার জেনারেটর ব্যবসায়ি মামুন হিন্দু সম্প্রাদায়ের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একটি কমিটি করে ছিলো। সেই অপরাধে শফিউদ্দিন প্রধান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঐ ব্যবসায়িকে মারধর করেছে।

তারা আরও বলেন, শফিউদ্দিন প্রধান কখনই আমাদের ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হতে পারকো না। প্রয়াত কমিশনার মহিউদ্দিন প্রধানের সুনামকে পুঁজি করে সে কাউন্সিলর হয়েছে। আবার তার কৃতকর্মের ফলেই ভোটাররা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

তাই আমরা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাদের আহবান করবো স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর এই পেতাত্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। কারন ৫ আগষ্টের  আগে শামীম ওসমান তার ছেলে অয়ন ওসমানের নেতৃত্বে শফিউদ্দিন প্রধান সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নারাযণগঞ্জ ক্লাব, সিটি কর্পোরেশন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন ভবনে লুটপাট ও অগ্নি-সংযোগ সহ নগরীতে প্রকাশে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপুর্ন আন্দোলনে তার নির্দেশে ছাত্রদের উপর অস্ত্র, রড, হকি, লাটিসোঠা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। যার প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। অচিরেই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট ব্যবস্থা নিতে আহবান করবো।