দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীনিবাসদী, কল্যান্দী, সালমদী ও এর আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে মাহমুদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এসএম সুমন (৩৮), শামিম মিয়া (৪৫), শাহেনশাহ (২৫), আবুল বাশার (৪০), শাহজালাল মিয়া (৪৫), দুলাল মিয়া (২৫), ইয়াসিন মিয়া (১৬), মুকুল ভূঁইয়া (১৯), শান্ত মিয়া (১৬) মকবুল হোসেন (২৫), শাহীন মিয়া (২২), মাহবুব হোসেনসহ (৩০) অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে শ্রীনিবাসদী ফ্রেন্ডস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা ছিল। খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সালমদী একাদশ বনাম শ্রীনিবাসদী একাদশ।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে শ্রীনিবাসদী মাঠ এলাকায় সাজসাজ রব। বিকেল ৪টায় খেলা শুরু হলে মাঠ কানায় কানায় ভরপুর হয়ে যা। নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে শ্রীনিবাসদী একাদশ সালমদীর জালে এক গোল করে।
এরপর সালমদীর সমর্থকদের কয়েকজন দর্শক মাঠে প্রবেশ করে রেফারির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় কল্যান্দী গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা সালমদীর সমর্থকদের মাঠের বাইরে যাওয়ার কথা বললে ধাক্কাধাক্কি হয়।
এতে সালমদীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা মাঠের ভেতর প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে কল্যান্দী ও সালমদী এলাকায় এ খবর পৌঁছালে তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।