# আমরা লোভের বশিভূত হয়ে দল করিনাঃ সেন্টু
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কারাবন্দী কর্মীদের সংবর্ধনা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৫ মার্চ) বাদ আছর ধামগড় ইউনিয়ন এবং নাসিক ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ার আতাউর রহমান মুকুল।
ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্য এড. আনিসুর রহমান মোল্লা, শহিদুল ইসলাম রিপন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, ফখরুল ইসলাম মজনু, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল আহমেদ বাবুল, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আহমেদ টিটু, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর বুলবুল, ২৭নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম।
বক্তব্যের পুর্বে কারানির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মাননা প্রদান করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমি সবসময় দলকে ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। দলের জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই কাজটা আমি করেছি। যখন থেকে দল ক্ষমতাচ্যুত হয় তখন থেকেই দলের হাল ধরে রেখেছি। আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিন্তু আমি দলকে ছেড়ে যাইনি। দলের প্রতিটি কার্যক্রমে আমি অংশগ্রহণ করেছি।
৫ আগষ্ট দেশ নতুন করে স্বাধীন হওয়ার পরদিনই আমি শান্তি মিছিল করেছি, বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছি। তারেক জিয়ার কথা কেউ রাখেনি। তিনি বলেছেন, দেশকে শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। আমি সেই ভাবে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, মহানগরের যে কমিটি দেয়া হয়েছে সেটা হলো সেলিম ওসমানের কমিটি। সেটা কিভাবে ? সাখাওয়াতের স্ত্রী ছিলো সেলিম ওসমানের পিএস। তার কথাই সেলিম ওসমান শুনতো। সেলিম ওসমান দুই কোটি টাকা দিয়েছিলো সাখাওয়াতকে নির্বাচন করার জন্য।
ওসমান পরিবারের কার সখ্যতা সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ রইলো। যদি আমার দ্বারা বিএনপির তিল পরিমান ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে চিরজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে দিন আমার কোন আপত্তি নেই।
কিন্তু বলতে হবে কেনো আমাকে বহিষ্কার করা হলো। কি অন্যায় করেছি, কি ক্ষতি করেছি সেটা বিএনপিকে বলতে হবে। যারা কোন আন্দোলন সংগ্রাম না ঘরে বসে ছিলো তারা নাকি এমপি নির্বাচন করবে। যারা লুটপাট করে তাদের কোন জায়গা আমার কাছে নেই। আমি জনগণের কল্যাণে কাজ করি। দেশনেত্রীর সুস্থ্যতা কামনায় ও তারেক রহমান খুব দ্রুত যেন দেশে এসে নেতৃত্ব দিতে পারেন সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ৫ আগষ্ট আমরা ফ্যাসিষ্ট হাসিনাকে পতন করতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ ছিলো, এই ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পতন হোক এবং সেটা হয়েছে। আমাদের উপর অনেক জুলুম অত্যাচার করেছে এই ফ্যাসিষ্ট সরকার, যার চিহ্ন আমার শরীরে রয়েছে।
আমরা লোভের বশিভূত হয়ে দল করিনা, দল করি শহীদ জিয়ার আদর্শের উপর ভিত্তি করে। তার আদর্শ ছিলো বলেই আজও মানুষ ধানের শীষে ভোট দেয়। আগামীতেও নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে মানুষ ধানের শীষে ভোট দিবে বলে আমি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য শহিদুল ইসলাম রিপন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, শহীদ মেম্বার, আবুল কাশেম, এনায়েতুল্লাহ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর আহমেদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।