দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জেলার বন্দরের মাহমুদনগরের হাজী আমিরের বাড়ি থেকে বস্তা ভর্তি ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় কুট্রি সাগর সহ প্রকৃত অপরাধীদের মামলায় না দেয়ার জন্য ৪ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন বলে জানা যায় মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর সৈয়দ মিজানুর রহমান।
তবে মামুদনগর এলাকার জনৈক বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে উক্ত তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে, মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর সৈয়দ মিজানুর রহমানের এঘটনায় ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মাত্র ৪ লাখ টাকার রফাদফা করার কল্পে প্রকৃত অপরাধীকে মামলা না জড়িয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই মুলত: অন্য এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করেন মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ইন্সপেক্টর মিজান। যা সর্বত্রই যেন এখন হাস্যকর হয়ে দাড়িয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার ২ মার্চ বিকেল ৩ টায় মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে মাহমুদনগরের হাজী আমির হোসেনের ভাড়াটিয়া কুট্রি সাগরের ঘরের সাথে শৌচাগার থেকে বস্তা ভর্তি ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ৫০ পিস ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয় এবং উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল এর সাথে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ।
পরবর্তীতে মূল হোতাদের আড়াল ও ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ মামলায় আসামী করা হয় মদনগঞ্জ সৈয়াল বাড়ির ঘাট এলাকার অপরাপর মাদক ব্যবসায়ী রোমান ওরফে ক্যাপ রোমানকে।
এছাড়াও , গত ২ মার্চ সোমবার মাহমুদনগর এলাকা থেকে বস্তা ভর্তি ফেন্সিডিল উদ্ধার করলেও ৪ মার্চ সন্ধ্যায় বিল্লাল হোসেনের মাধ্যমে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের কাছে ৪ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয় বলে একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়।
এদিকে, ফেন্সিডিল উদ্ধারের বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করতে পরিচয় গোপন রেখে প্রতিবেদক বিল্লালের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ফেন্সিডিলের বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। ৪ লাখ টাকার দেয়ার পর আর কোন টাকা দিয়েছিলেন কিনা তখন বিল্লাল প্রতিবেদক কে জানান টাকা চেয়েছিল এমনে ( ইই মুঅ করে) বাদ করে দিছি। পরে কুট্রি সাগরের বিষয়ে জানতে চাইলে, সাগর কে কি ইন্সপেক্টর মিজান কি ডিস্ট্রাব করছে কিনা তখন প্রতিবেদক কে বিল্লাল জানান, আরে না কইছি না মিট করে দিছি। আচ্ছা পরে কথা হবে বলে সংযোগটি কেটে দেয়।
এদিকে, ফেন্সিডিল উদ্ধারের পর পরই ওই বাড়ির মালিক হাজী আমির হোসেনের চাচাতো ভাই জনৈক নামধারী বিশেষ পেশাধারীর মধ্যস্থতায় ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের জায়গাটি পরিত্যক্ত বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনা এ এলাকায় নতুন কিছু নয়। এর আগেও এলাকায় প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল বিক্রি করতে দেখা গেছে কানা সোহাগকে। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মিজান।
অপর দিকে বিশেষ পেশার নামধারী সে নিজেও মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারদাতা হিসেবে এলাকায় প্রচারিত। তার বিরুদ্ধেও ১৯৯৫ সালে চাঞ্চল্যকর নিপু হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। সর্বোপরি সে বন্দরের স্থানীয় সোনাকান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য পদে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালণ করেছেন।
এ বিষয়ে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলেই সংযোগটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.রফিকুল ইসলাম রফিক জানান,মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের এসপি মহোদয় স্যারও জিরে াটলারেন্সে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কারো ছাড় নেই। যদি আসামীর ক্ষেত্রে কোন অন্যরকম হয় এবং কেউ বাদ যায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী’র দাবি,ইন্সপেক্টর মিজানুর ইসলামকে তদন্ত কর্মকর্তা থেকে পরিবর্তণ করে অন্য কোন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি জোরদাবি জানিয়েছে।