দ্যা বাংলা এক্সপ্রেসডটকম: ৫ বছরের শিশু সোয়াইব হোসেনের সাথে এমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ৭ বছর পর ৯ নভেম্বর রায় দেয়ার কথা ছিল আদালতে। কিন্তু সেই রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর ধার্য্য করা হয়েছে।
সোমবার (৯ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের এপিপি মো. আবদূর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবদূর রহিম বলেন, শিশু শোয়েব হত্যার রায় হওয়ার কথা আজ ছিল। কিন্তু এই রায় আজ হবে না। বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা আগামী ২৫ নভেম্বর এ রায়ের দিন ধার্য্য করেছেন।
২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও এলাকারস্থানীয় শান্তিনগর দারুন নাজাত নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেনীর ছাত্র সোয়াইব হোসেন নিখোঁজ হন। এ ঘটনার ৬ দিন পর একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে গলাকাটা লাশ, ঝলসে দেওয়া সোয়াইব হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোয়াইবের বাবা মাসুম মিয়া তার ছেলেকে অপহরণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোশরফ হোসেন, রাজু মিয়া, ফজল হক, জসিম উদ্দিন, শিরসতালী, নাছির উদ্দিন, আলী আহাম্মদ ও রিনা বেগমসহ ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তখন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মোশারফ হোসেন, রাজু মিয়া, নাছির উদ্দিন, ফজল মিয়া, সিরাসতালী ও আলী আহাম্মদসহ আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে ছিল।
ওই সময় আসামীরা নারায়ণগঞ্জে জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাদনী রুপমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে আসামীরা জানায়, নারী ঘটিত একটি কারণে শিশু সোয়াইব হোসেনকে অপহরণের পর শিশুটিকে প্রথমে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে পরে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাটা হয় এবং এসিড দিয়ে পুরো শরীর ঝলছে দেয়।