দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাবেক সাংসদ মরহুম হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের ৩৪ তম মত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪ টায় কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, আতাউর রহমান মুকুল,
এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, এ্যাড. রফিক আহম্মেদ, মনিরুজ্জামান মনির, আয়সা সাত্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন, আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু,
সহ-দপ্তর সম্পাদক রোমান হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, বিএনপি নেতা হান্নান সরকার, সুলতান আহম্মেদ, আবুল কাশেম, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কর্ণধার সাবেক সাংসদ, পৌরসভার নির্বাচিত ভাইসচেয়ারম্যান হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। যার কাছে কখনই অন্যায়কারি প্রশ্রয় পেতো না। তিনি ছিলেন আমাদের রাজনৈতিক গুরু জালাল উদ্দিন আহম্মেদ ( জালাল হাজী)।
তিনি মুক্তিযুদ্ধাদের অস্ত্র লুট করতে সহযোগীতা করে ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অনেক মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে মামলা হয়েছিলো। সে সময় তিনি তাদের সকলের জামিনদার হয়ে ছিলেন। তিনি সকলের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন।
আমি নিজে দেখেছি আলী আহম্মেদ চুনকা সাহেব তাকে পায়ে ধরে সালাম করতেন। সকলের কাছে তিনি ছিলেন সম্মান জনক ব্যক্তি। দলের জন্য তার অবদান কখনই বলে শেষ করা যাবে না। আমি গর্বিত তার নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি।
তিনি কখনই কাউকে ভয় পেতেন না। আমি দেখেছি তিনি পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলতেন কোন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আপনারা হয়রানী করবেন না। কারন জনগনের টেক্সের টাকায় আপনাদের বেতন আসে। তাই জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। তার কথায় তৎকালিন পুলিশরা সাবধানতা অবলম্বন করে চলতো। এখন প্রশাসন মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানী করে আর শেখ হাসিনা চেয়ারে বসে হাসে।
আমি আশাবাদী তার নাতি আবুল কাউছার আশা হাজী জালাল উদ্দিন আহম্মেদের মত একজন কর্মী বান্ধব ও জনদরদি নেতা হবে। কারন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে জালাল হাজীর মত নেতা আমাদের খুব প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, জালাল উদ্দিন আহম্মেদকে সততা আর নিষ্ঠার জন্য দল তাকে খুব ভালবাসতেন। সব সময় কর্মীদের নিয়ে ভাবতেন তিনি ছিলেন নেতা তৈরির কারিগর। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে তার অবদান কখনই ভুলার নয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তৎকালিন সময় সংসদে সবচেয়ে বেশি তাকে সম্মান করতো। বর্তমান বিএনপিতে তার মত নেতার খুবই প্রয়োজন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাষ্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সুমন মিয়া, সহ-প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, মোস্তাক আহম্মেদ,
মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন, হাফেজ আহম্মেদ, আবুল হোসেন মেম্বার, আল মামুন, হারুন শেখ, শহীদ মেম্বার, হাজী তাহের আলী, আলী হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আল আরিফ, মানিক বেপারী, হাফেজ সিব্বির আহম্মেদ,
মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, আলী ইমরান শামীম,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল হাসিব, রাজু আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার,
মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, খালেদ মামুন, ফজলুল হক, আনিছুর রহমান জুয়েল, পরিবহন শ্রমিক দল নেতা বাচ্চু মিয়া, শহীদ হোসেন, বাদশা মিয়া, বিল্লাল বেপারী, জাকির হোসেন, আলী হোসেন, স্বপন মিয়া, কাউছার আহম্মেদ সুমন, সেলিম মিয়া,
সদর থানা ছাত্র দলের যুগ্ম-আহবায়ক হৃদয়, বন্দর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক মিয়া, রিপন সহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।