দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. জাকির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরু উদ্দিন আহম্মেদ এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে জন¯্রােতকে বাঁধা দিতেই অবৈধ সরকার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভূতুরে মামলা সাজিয়ে হয়রানী করার বৃথা চেষ্টা করছে। কারন তারা বুঝে গেছে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে এই দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে জিয়ার সৈনিকরা আরও একটি বিপ্লব ঘটাবে। যেটা সামাল দেয়া অবৈধ সরকারের পক্ষে অসম্ভব।

তাই ঢাকা বিভাগের আওতাধীন অন্যান্য জেলার মত নারায়ণগঞ্জে জিয়ার সৈনিকদের বাঁধা সৃষ্টি করতেই কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আমরা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এই গায়েবি মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে অচিরেই এই মিথ্যা মামলা প্রতাহারের দাবি জানাচ্ছি।

সেই সাথে প্রশাসনকে আহবান করবো আপনারা কোন দল বা ব্যক্তির লাঠিয়াল বাহিনী না। আপনারা এদেশের জনগনের সম্পদ। জনগনের টাকায় আপনাদের বেতন ভাতা দেয়া হয়। তাই আওয়ামীলীগের পাল্লায় পরে তাদের পক্ষে গিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হবেন না। দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে আপনারা শরিক হতে না পারেন। নিরবতা পালন করুন। জনবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। আপনারা দেশ ও জনগনের সম্পদ কোন দল বা ব্যক্তির হয়ে কাজ না করে জনকল্যানে নিজেদের নিয়োজিত করুন।

বিবৃতিত্বে একাত্ততা প্রকাশ করেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, হাজী ফারুক হোসেন, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, মনিরুজ্জামান মনির, আয়সা সাত্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, হাজী ইসমাইল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউছার আাশা, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাষ্টার,

সাবেক যুববিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড, আনিছুর রহমান মোল্লা, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু, সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শরিফুল ইসলাম শিপলু,

বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, মো: সাফি, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সহ মহানগর বিএনপির একাংশের নেতৃবৃন্দ।