দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। দন্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে করা এই মামলায় এজাহারনামীয় ৭১ জন এবং অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু।
আমীর খসরু জানান, সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়েল করেছেন। এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ চলাকালীন আটক করা হয়েছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় সংঘর্ষে নিহত শাওন প্রধানের বড়ভাই মিলন প্রধান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় বিএনপির অজ্ঞাত ৫০০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আহম্মেদ,
সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু, সোনারগাঁ থানা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মন্টু মেম্বার, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন আকবর,
মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহম্মেদ, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা জুয়েল রানা, মহানগর বিএনপির বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা ছাত্র দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপিতি শরিফ হোসেন মানিক, নয়ন, রুবেল, সোহেল, জুয়েল আরমান, মুরাদ হাসান, স্বপন চৌধুরী, একরামুল কবির মামুন, আনিছ, জামাল কাজী, মো. সালু, ইকবাল, রতন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরে এলাহি সোহাগ, জাহাঙ্গীর, আরিফ, ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা ওমর আলী, রাজ্জাক, সালাহউদ্দিন, রাজু আহম্মেদ রমজান, মহানগর বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল, আবুল হোসেন, কামরুল হাসান সেন্টু, রফিকুল ইসলাম, জাকির রাসেল, মাহমুদ হোসেন কাজল, কানা আক্তার, আবুল হোসেন সর্দ্দার, সাজু, মহানগর ছাত্র দলের নেতা লিংরাজ খান, লিংকন খান সনেট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন জিয়া, রয়েল, মহানগর যুবদল নেতা ফয়জুল্লাহ সজল, মো. রশিদ, মুছা ফারুক, রুবেল, শফিকুল।
সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাঈদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ৫০০০ হাজার নেতা-কর্মী সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তাদের সড়ক ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা সড়ক ত্যাগ না করে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ পিছু হটে। পরে তারা দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় পুলিশ বক্সে হামলা চালায়। তারা ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এই সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি, মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়।