দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটির বয়স নয় মাস পার হতে না হতেই বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মহানগর যুবদলের ৫ কর্তাবাবুরা ৩ মেরুতে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি গুলো পালনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় একই সারিতে।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তুকে সরিয়ে সেখানে আসতে বেকুল হয়ে পরেছেন সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল। তাই তার রাজনৈতিক গুরু নজরুল ইসলাম আজাদের প্রেসক্রিপশনে মহানগর কমিটি সাজাঁতে চাইছে সজল। সেই একই পথ অনুশরন করে চলছে যুগ্ম-আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি।
অপর দিকে, আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তুর কাছে এই সকল বিষয় গুলো কিছুটা পরিষ্কার হলেও এখনও রয়েছেন নিরবতার ছায়ায়। এদিকে শুরু থেকে সজল কমিটিতে পদ দেয়ার কথা বলে কর্মীদের কাছ থেকে অর্থ বানিজ্য করায় ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাগর প্রধানের মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ দেখা না গেলেও। কমিটি বানজ্যি নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে মৌনযুদ্ধ। অন্যদিকে সবার কনিষ্ঠ যুগ্ম-আহবায়ক ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ বিষয় গুলো নিয়ে সব জান্তা শমসের হলেও নিরবতার তালিকায় রয়েছেন তিনিও।
এদিকে মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য কমিটির মধ্যে আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু কারো নির্দেশনায় কাজ করে বেতন ভুক্ত কর্মচারী হতে নারাজ। তাই নিজের বলয় নিয়ে চলছেন আলাদা ভাবে। নিজের অবস্থান দরে রাখতেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক চলছে তার রাজনীতি। এছাড়াও সদস্য সচিব সজল ও যুগ্ম-আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি রাজনীতি করছেন নজরুল ইসলাম আজাদের প্রেসক্রিপশনে। অপরদিকে সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাগর প্রধান শুরু থেকে নিজের বলয় নিয়ে রাজনীতির মাঠে হাটছেন এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের পিছনে। আর সবচেয়ে কনিষ্ট যুগ্ম-আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ সজল ও মন্টির সিমানা মোতাবেক কাজ না করলেও চলছে মামা মোশারফ হোসেনের নির্দেশনায়।
এ দিকে ৫ সদস্য কমিটির নেতাদের এই দন্ধের কারন হিসেবে যুবদল নেতারা বলেন, সকল নেতাদের পাশ কাটিয়ে গুরুর দেয়া প্রেসক্রিপশনের উপর ভিত্তি করে নিজের মনগড়া কমিটি সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সজল। তার এই একপেশী সিদ্ধান্তের কারনে কমিটিতে থাকা নেতাদের মধ্যে বিভক্তির দাগ দেখা দিয়েছে। গুরুর আর্শিবাদপুষ্ট সজল বাকি ৪ নেতাকে তোয়াক্কা না করেই নিজের মনগড়া কমিটি সাজাঁতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যার ফল শ্রুতিতে মহানগর যুবদলের নেতাদের কমিটিতে স্থান না দিয়ে বন্দরের ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেকে নেতাদের রাখার চেষ্টা করছেন। সেই সাথে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার রয়েছে একাধিক নাম।
এরফলে মহানগর যুবদলের কমিটিতে স্থান পাচ্ছে বন্দর উপজেলার ঝাউতলা এলাকার পারভেজ খান, মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্ধ এলাকার হারুনুর রশিদ লিটন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সায়েদ উল্লাহ মুকুল, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নুর ইলাহী সোহাগ সহ আরও অনেকেই।
মহানগর যুবদলের নেতারা আরও বলেন, সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী মহানগরের আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ডের নেতাদের দিয়ে মহানগর যুবদলের কমিটি সাজানোর কথা। যেখানে রয়েছে পদবঞ্চিত শতশত নেতা ও কর্মী। তাদের বাদ দিয়ে জেলার আওতাধীন নেতা ও কর্মীদের মহানগর কমিটিতে রাখলে। সাংগঠনিক ভাবে কতটা শক্তিশালী হবে সেটা এখন দেখার বিষয়। তবে সংগঠনের উপকার না হলেও, দিন শেষে মনিরুল ইসলাম সজলের নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন হবে সেটাই তার কাছে বড় বিষয়।
তারা আরও বলেন, নজরুল ইসলাম আজাদের প্রেসক্রিপশনে সজল মহানগর কমিটি সাজাঁতে চাইছে। এর ফলে মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য কমিটিতে দিন দিন বিভক্তি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এতে করে যুবদল সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার চেয়ে বিভাজন সৃষ্টি হবে সবচেয়ে বেশি। যা দলের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক অবস্থা বয়ে আনবেনা। তাই আমরা ধারণা করছি আজাদ ও সজলের প্রেসক্রিপশনে মহানগর যুবদলের কমিটি হলে নারায়ণগঞ্জে মহানগর যুবদলের রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।